পারকি সমুদ্র সৈকতকে আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে নানা উদ্যোগ
প্রকাশ | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পারকি সমুদ্র সৈকতে শীতের তীব্রতার মাঝেও দিন দিন পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে। শৈত্যপ্রবাহের মধ্যেও সৈকতে ভিড় জমাচ্ছেন অসংখ্যক দর্শনার্থীরা। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সৈকতজুড়ে ছিল পর্যটকদের আনাগোনা। এদিকে, পারকি সমুদ্র সৈকতকে একটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে স্থানীয় প্রশাসন নানা উদ্যোগ নিয়েছে। শনিবার ফেব্রম্নয়ারি সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পর্যটকদের ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ধারণা করছেন। এতে নিরাপত্তার পাশাপাশি রাতের জন্য লাইটিং ব্যবস্থা করলে আরও সৌন্দর্য্য বাড়বে বলে আশা করে স্থানীয়রা।
জানা গেছে, গত কিছুদিন ধরে পারকি সমুদ্র সৈকতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সৈকতের নিচে থাকা দোকানগুলো সরিয়ে দেওয়া প্রসংশনীয় হলেও পারকি বিচ ম্যানেজমেন্ট না থাকার কারণে সৈকত জুড়ে অপরিচ্ছন্নতা দেখা দিয়েছে। পর্যাপ্ত বিদু্যৎ লাইটিং এবং পারকি পর্যটন কমপেস্নক্সের কাজ শেষ না হওয়ার কারণে আবাসিক হোটেলের তেমন ব্যাবস্থা নেই পর্যটকদের।
সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটক জিলস্নুর রহমান জানান, এখানে এসে বেশ ভালোই লাগছে। আগের চেয়েও নিরাপদ জোরদার হওয়ায় পর্যটকের আগমন বেশি। সৈকতে থাকার তেমন ভালো মানের হোটেল নেই। তবে শীতের তীব্রতা একটু কমলে মানুষ বেড়াতে বেশি আসবে। সৈকতে বাচ্চাদের নিয়ে গোসল করতে এসেছি।পরিবারের সবাই আনন্দ-উলস্নাস আর ছোটাছুটিতে ব্যস্ত। টুরিস্ট পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্মকর্তা স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, আগত পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় কাজ করছে টু্যরিস্ট পুলিশ। চট্টগ্রামের সব দর্শনীয় স্থানগুলোতে আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে। পারকি সমুদ্র সৈকতে স্থায়ী টু্যরিস্ট ক্যাম্প করার চিন্তা করা হচ্ছে। আপাতত অস্থায়ী ক্যাম্প করে সৈকতের নিরাপত্তা জোরদার করতে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভবিষ্যতে এই পারকি সমুদ্র সৈকতে পর্যটকরা এসে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের স্বাদ পাবে। এ ব্যাপারে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আকতার সাংবাদিকদের বলেন, 'আজকে পারকি সমুদ্র সৈকত পরিদর্শনে গিয়েছি। পারকি সমুদ্র সৈকতকে একটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে বিচ ম্যানেজমেন্ট আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। নিরাপত্তা জোরদার করতে আপাতত অস্থায়ী টু্যরিস্ট পুলিশের ক্যাম্প করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিচের নিচের দোকানগুলোকে সরিয়ে নিতে রমজানের আগ পর্যন্ত তাদের সময় বেধে দেওয়া হয়েছে এবং সৈকতকে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা রাখতে দুয়েকদিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।