সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২

গলস্নামারী-চালনা সড়কে পাউবোর তিন গেট যেন মরণ ফাঁদ!

খুলনা অফিস
  ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
গলস্নামারী-চালনা সড়কে পাউবোর তিন গেট যেন মরণ ফাঁদ!
খুলনার বটিয়াঘাটায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন -যাযাদি

খুলনার বটিয়াঘাটায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি অতি জনগুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সড়কে পরিণত হয়েছে। এ সড়কে তিন স্স্নুইজ গেট যেন মরণ ফাঁদ! সড়ক প্রসারিত করা হলেও স্স্নুইজ গেটের স্থানে সরু থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।

জানা যায়, কালের বিবর্তনে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)'র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়ি বাঁধটি এখন গলস্নামারি টু চালনা আঞ্চলিক সড়কে পরিণত হয়েছে। ষাটের দশকে পাউবোর নির্মিত ৩০নং পোল্ডারের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপর নব্বইয়ের দশকে পাকা কার্পেটিং করে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। বর্তমানে সড়কে ব্যাপক যানবাহনের চাপ। তাছাড়া একটা সময় দাকোপ উপজেলার চালনা দেশের দ্বিতীয় নৌ-বন্দর ছিলো। যদিও সেটা এখন মংলায় স্থানান্তরিত হয়েছে। ইতিমধ্যে চালনা রোডে অনেক শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। যার কারণে সড়কে ভারি যানবাহনের চাপ অনেকটা বেশি। বর্তমান সড়কটি খুলনার দক্ষিনাঞ্চলে যোগাযোগে অতিগুরুত্ব বহন করছে।

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কে পরিণত হয়ে উঠলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলায় সাবেক ডিজাইন রয়ে গেছে। যে কারণে বেড়ি বাঁধের উপর দিয়ে ভারি যানচলাচলের কারণে বাঁধটি হুমকীর মধ্যে পড়েছে। এই বাঁধ নির্মাণ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড আর কার্পেটিং করে পাকা সড়ক নির্মাণ করেছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। যখন বাঁধ নির্মাণ হয় তখন সেই ডিজাইনে স্স্নুইজ গেট নির্মাণ হয়। কিন্তু কালের বিবর্তনে রাস্তা প্রসারিত করা হলেও দেশ স্বাধীনের আগে করা সেই সরু গেটগুলো আজো সেভাবে রয়ে গেছে। বটিয়াঘাটা বাজার থেকে ঝপঝপিয়া পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে কিসমত ফুলতলা, খড়িয়া ও কাতিয়ানাংলায় মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ পাউবোর এই তিন স্স্নুইজ গেট। সড়কে কার্পেটিং করে যানচলাচলের বেশ উপযোগি হলেও গেট সরু থেকে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে।

বিরাট গ্রামের সেলিম সরদার জানান, চালনা সড়কে খড়িয়ার গেটের সামনে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। রাস্তা অনেক চওড়া তবে গেটের জায়গায় অত্যন্ত সরু! কিসমত ফুলতলার আকবর গাজী জানান, বটিয়াঘাটা বাজারের পাশে কিসমত ফুলতলা ১ ভেন্টের গেটটি অচল অবস্থায় পড়ে আছে দীর্ঘদিন। গেটগুলো ১৯৬৯ সালে নির্মিত। পরে নব্বইয়ের দশকে সড়ক ও জনপদ বিভাগ রাস্তায় কার্পেটিং করে। কিন্তু অচল গেটগুলো এখনো অপসারণ করেনি। যার কারণে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। দ্রম্নত কর্তৃপক্ষের সজাগ দৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে খুলনার পওর বিভাগ ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম জানান, ষাটের দশকে বটিয়াঘাটা এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ৩০ নম্বর পোল্ডারের আওতায় বেড়ি বাঁধটি নির্মাণ করে। এটা কোন যানচলাচলের উপযোগি রাস্তা নয়। এরপর বলেন, আমি যতদূর জানি গলস্নামারী থেকে নলিয়ান পর্যন্ত একটা রাস্তা করার পরিকল্পনা আছে সড়ক ও জনপদ বিভাগের এবং আমাদের এই গেটগুলো তারা প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করবে। তাদের প্রকল্প পাশ হলে ডিপোজিট ওয়ার্ক হিসেবে দিলে আমরা আমাদের ডিজাইন মোতাবেক যতটুকু চওড়ার প্রয়োজন সেই ডিমান্ড অনুযায়ী চওড়া করে দিবো। তবে এই মুহুর্তে আমাদের কাছে কোন প্রকল্প বা অর্থ নেই। খুলনা সড়ক বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলী তানিমুল হক জানান, গলস্নামারী- চালনা সড়কটি প্রকৃত অর্থে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধঁ। তবে কােিপটিং সড়ক বিভাগ করেছে। স্স্নুইচ গেটসহ অন্যান্য সব পাউবোর।

দেশের বিভিন্ন এলাকায় এরকম সড়কে কার্পেটিং এর কাজ করা হয়েছে দাবি কওে তিনি বলেন, গেট বা অন্যান্য কোন কিছুর পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করার এখতিয়ার সওজের নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে