কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে লাইসেন্সহীন ৫ ইটভাটা বন্ধ ঘোষণা করেছে মোবাইল কোর্ট। অন্যদিকে নাটোরের গুরুদাসপুরে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কৃষি জমিতে পুকুর খনন করার অপরাধে ৪ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো বিস্তারিত খবর-
ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, ইট ভাটায় ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) লঙ্ঘনের অপরাধে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা ইটভাটা গুলোতে মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিতায় বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করেন কুড়িগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর ও ফুলবাড়ী ইউএনও ও নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেহেনুমা তারান্নুম। এ সময় ফুলবাড়ী উপজেলার স্থাপনকৃত ৫টি ইটভাটায় পরিবেশগত ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স না নিয়ে ইটভাটা পরিচালনা করার অপরাধে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় মোবাইল কোর্ট।
ইটভাটাগুলোতে আগুন নিভিয়ে ও বিদু্যৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। অবৈধভাবে পরিচালিত এসব ইটভাটার প্রস্তুতকৃত ইট ও কিছু স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
আইন লঙ্ঘনের অপরাধে বন্ধ করে দেওয়া ইটভাটা গুলো হচ্ছে- ফুলবাড়ী উপজেলা কাশিপুর ইউনিয়নের আজোয়াটারী গ্রামে স্থাপিত মেসার্স এম এস এইচ বিকস, মেসার্স এ বি ব্রিকস, মেসার্স ডবিস্নউ এ এইচ ব্রিকস, রাবাইতারী খড়িবাড়ী এলাকার মেসার্স এম এ ব্রিকস, মিুলবাড়ী ইউনিয়নের বোর্ডর হাট সংলগ্ন এলাকায় স্থাপিত মেসার্স জে এম এইচ ব্রিকস।
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি জানান, নাটোরের গুরুদাসপুরে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করায় চার ব্যবসায়ীকে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ডোবারপাড়া মাঠে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা আফরোজ।
জানা যায়, গুরুদাসপুর উপজেলাব্যাপী এই মৌসুমে তিন ফসলি জমি নষ্ঠ করে প্রতি বছর শুরু হয় পুকুর খননের মহোৎসব। এবছর শুরুর দিকেই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে পুকুর খনন বন্ধে।
ইউএনও ফাহমিদা আফরোজ বলেন, 'উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ী পুকুর খনন করছিল। এমন খবরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তিন ব্যবসায়ীকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা অনাদায়ে তিন মাসের সশ্রম কারাদন্ড ও এক ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে পুকুর খনন রোধে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধ পরিকর। আইন অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'