শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২
প্রায় ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে চারা রোপণ

ইরি-বোরো চাষে ব্যস্ত শাহজাদপুরের কৃষক

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
ইরি-বোরো চাষে ব্যস্ত শাহজাদপুরের কৃষক
ইরি-বোরো চাষে ব্যস্ত শাহজাদপুরের কৃষক

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৃষকরা আসন্ন ইরি-বোরো ধান চাষের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছেন। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের প্রায় ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষ করার জন্য ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কৃষক-কৃষাণীরা।

আর কয়েকদিন পরেই পুরোদমে মাঠে ব্যস্ত দেখা যাবে কৃষকদের। উপজেলার বিভিন্ন খাল-বিল, নদীর অববাহিকায় ইতিমধ্যেই ইরি-বোরো ধানের বীজতলা তৈরি হয়েছে। কেউ বীজতলা থেকে চারা তুলে চারা রোপণ শুরু করেছেন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে এখন কৃষকরা জমি ইরি-বোরো চাষের উপযোগী করছেন। ইঞ্জিন চালিত ট্রাক্টর দিয়ে মাটি আগলা করার পাশাপাশি সার দেওয়া ও শ্যালো মেশিন বসাতে শুরু করেছেন। অনেক জমিতে এখনও রবি সরিষা রয়েছে। রবি সরিষা উত্তোলন করার পরেই মূলত মাঠ পুরোদমে ব্যস্ত হবে প্রধান কৃষিপন্য ধান চাষে।

নিম্নাঞ্চল হওয়ায় শাহজাদপুর উপজেলার সর্বত্র বন্যার পানিতে পস্নাবিত হয়ে প্রায় ৩-৪ মাস ফসলি মাঠ পানির নীচে থাকে। পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ২য় প্রধান কৃষি পন্য রবি সরিষা চাষ শুরু হয়। এরপরেই বন্যার পানি প্রবেশের পূর্ব পর্যন্ত চলে ধান চাষ। আর ১৫-২০দিন পরেই মাঠে গড়াবে শ্যালো ও বিদু্যৎ চালিত সেচ মেশিন। তীব্র শীত ও শৈত্য প্রবাহ না থাকায় বীজতলা নিরাপদ রয়েছে। আবহাওয়া অনূকুলে থাকলে গত বছরের ন্যায় এবারও ইরি-বোরো চাষাবাদ ভালো হওয়ার আশা করছেন কৃষকরা।

পোতাজিয়া গ্রামের কৃষক শাহজাহান আলী জানান, গত বছর রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ ও শৈত্য প্রবাহের কারণে বীজতলা নষ্ট হওয়ায় চাষাবাদ ব্যহত হয়েছিল। বর্তমানে চারা থেকে শুরু করে ডিজেল ও সারের কোন রকম সঙ্কট না থাকায় আমাদের মাঠে ধানের চারা রোপণের কাজ ইতোমধ্যেই কেউ শেষ করে ফেলেছেন আবার কেউ শুরু করছেন।

শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেরিন আহমেদ বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় চলতি মৌসুমেও ইরি বোরো চাষাবাদে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জমি প্রস্তুত ও ধানের চারা রোপণ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে এ জেলার ইতোমধ্যেই প্রায় ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ধানের চারা রোপণ শুরু হয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে এ চাষাবাদ পুরোদমে শুরু হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষমাত্রা অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনার পাশাপাশি তাদের উৎপাদিত ধান-চালের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সরকারের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে