কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। এ উপজেলার ৪৬ হাজার ৬৩১টি পরিবারের দুইলাখ এক হাজার ৬৬৮ জনকে নিয়ে এক গবেষণায় ২১৪ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
জানাযায়, শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) জনস্বাস্থ্য ও ইনফরম্যাটিকস বিভাগের শিক্ষক ও গবেষকরা এ উপজেলা একটি গবেষণা পরিচালনা করেন। এই গবেষণা উদ্যোগের অধীনে, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে হোসেনপুরে ক্যান্সার রেজিস্ট্রেশন পরিচালনা করেন। ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ১৪ জানুয়ারির মধ্যে ১৩ হাজার ৪১১টি পরিবারের ওপর ফলো-আপ রেজিস্ট্রেশন পরিচালনা করা হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, এ উপজেলায় প্রতি লাখে ৫৩ জন নতুন ক্যান্সার রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। পুরুষদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সার এবং মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের প্রকোপ বেশি। এলাকাটিতে মোট মৃতু্যর ১২ শতাংশই ক্যান্সারজনিত।
গবেষণা অনুযায়ী, হোসেনপুরের বাসিন্দাদের মধ্যে ৩৮ ধরনের ক্যান্সার শনাক্ত করা হয়েছে। প্রায় ৯৩ শতাংশ ক্যান্সার রোগীর বয়স ১৮ থেকে ৭৫ বছরের মধ্যে, শিশুদের মধ্যেও কিছু ক্যান্সার রোগী পাওয়া গেছে। উলেস্নখ্য, ৭ শতাংশের বেশি ক্যান্সার রোগী কোনো ধরনের চিকিৎসা নেন না। পুর"ষদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ল্যারিঞ্জিয়াল (১৩ শতাংশ), পাকস্'লী (১০.৪ শতাংশ), ফুসফুস (৮.৭ শতাংশ), ঠোঁট ও মুখগহ্বর (৭ শতাংশ) এবং খাদ্যনালীর (৬.১ শতাংশ) ক্যান্সার। মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় স্তন (৩৬.৪ শতাংশ), জরায়ুমুখ (১১.১ শতাংশ), ঠোঁট ও মুখগহ্বর (১০.১ শতাংশ), থাইরয়েড (৭.১ শতাংশ) এবং ডিম্বাশয়ের (৫.১ শতাংশ) ক্যান্সার।
বিএসএমএমইউর সহযোগী অধ্যাপক খালেকুজ্জামান গবেষণার ফলাফল বিষয়ে বলেন, হোসেনপুর উপজেলার ৪৬ হাজার ৬৩১টি পরিবারের ২ লাখ ১ হাজার ৬৬৮ জনকে নিয়ে এই গবেষণাটি পরিচালিত হয়। এতে মোট ২১৪ জন ক্যান্সার রোগী শনাক্ত হন। প্রতি লাখে ১০৬ জন ক্যান্সার রোগীর হার নির্দেশ করে। তিনি আরও উলেস্নখ করেন যে ১৭ শতাংশ ক্যান্সার রোগীর উ"চ রক্তচাপ, ১১ শতাংশের ডায়াবেটিস, ৬ শতাংশের হৃদরোগ এবং ৩ শতাংশের কিডনি রোগ আছে। ২ শতাংশ রোগীর স্ট্রোকের ইতিহাস রয়েছে এবং ৭৬ শতাংশ পুর"ষ ক্যান্সার রোগীর ধূমপানের ইতিহাস রয়েছে।