মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

পাইকগাছায় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে চলছে অবৈধ ইটভাটা ও কয়লার চুলিস্ন

বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের অভিযান ভাটা ধ্বংস ও এস্কেভেটর জব্দ কারাদন্ড ও অর্থদন্ড প্রদান
স্বদেশ ডেস্ক
  ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
পাইকগাছায় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে চলছে অবৈধ ইটভাটা ও কয়লার চুলিস্ন
পাইকগাছায় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে চলছে অবৈধ ইটভাটা ও কয়লার চুলিস্ন

খুলনার পাইকগাছায় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে চালানো হচ্ছে অবৈধ ইটভাটা ও কয়লার চুলিস্নর কার্যক্রম। ফলে পরিবেশ হচ্ছে দূষিত, কমছে ফসলি জমি। অন্যদিকে, অবৈধ ইটভাটা ও ফসলি জমির মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। দিনাজপুরের কাহারোল, নীলফামারীর সৈয়দপুর, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, আনোয়ারাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। অভিযানে অবৈধ ইটভাটা ধ্বংস, কয়লার চুলিস্ন নষ্ট, কস্কেভেটর জব্দ ও কোনো কোনো স্থানে বালু উত্তোলনকারীদের অর্থ এবং কারাদন্ডও প্রদান করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তাদের এ অভিযান চলমান থাকবে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি জানান, খুলনার পাইকগাছায় প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে সমান তালে চালিয়ে যাচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ইটভাটা ও কয়লার চুলিস্নর কার্যক্রম। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পরেও যেনো নড়েচড়ে বসেছে ইটভাটা ও কয়লা গোলার মালিকরা। অবৈধ কাঠ পুড়িয়ে ইটভাটা ও কয়লা তৈরির চুলিস্ন গড়ে ওঠায় পরিবেশ বিপর্যয় তৈরি হচ্ছে। এ নিয়ে গত বছর ২৫-২৬ ফেব্রম্নয়ারী ২০২৪ সালে বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়।খবর প্রকাশে সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসন পরিবেশ সুরক্ষায় উপজেলার চাঁদখালী অবৈধ কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরীর কারখানা বন্ধ করতে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

অবৈধ চুলিস্ন ধ্বংস বা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করেন খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রট মো. আসিফুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম। এ সময়ে ৬৯টি চুলিস্নর মধ্যে স্কাভেটর দিয়ে ৫টি ধ্বংস করা হয়েছিল। বাকী কয়লা চুলিস্নগুলো বন্ধ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। মানবিক কারণে একমাসের মধ্যে সম্পূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ ও অপসারণ করার শর্তে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু শাহাজাদা ইলিয়াস মুচলিকা দেওয়ায় কর্তৃপক্ষ বিবেচনায় নেন। এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পরেও বন্ধ হয়নি কয়লার চুলিস্ন, আবারো নড়েচড়ে বসেছেন মালিকপক্ষ।

জানা যায়, একটি চুলিস্নতে প্রতিবার ২০০ থেকে ৩০০ মণ পর্যন্ত কাঠ পোড়ানো হয়। প্রতিবার কমপক্ষে ২৫ হাজার মণ কাঠ পোড়ানো হয়। প্রতিমাসে প্রত্যেকটি চুলিস্নতে ৩ থেকে চারবার কাঠ পুড়িয়ে কয়লা করা হয়। ফলে প্রতিমাসে কয়লার চুলিস্নতে ৮০ হাজার থেকে একলাখ মণ কাঠ পোড়ানো হয়। ফলে ধ্বংস হচ্ছে প্রাকৃতিকসহ সামাজিক বন। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশের। বিষাক্ত ধোঁয়ায় এলাকায় বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন, প্রকৃতি ধ্বংসসহ মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে থাকলেও অদৃশ্য কারণে এতদিন কর্তৃপক্ষ নীরব ছিল। অধিক লাভজনক হওয়ায় সবদিক ম্যানেজ করে এই অবৈধ ব্যবসায় নেমে পড়েছেন এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি।

স্থানীয়রা জানান, চুলিস্নর কারণে রাস্তা দিয়ে চলা যায় না। চোখ জ্বালা করতে থাকে। দম বন্ধ হয়ে আসে। এ সকল কাঠ কয়লার চুলিস্নর বিষাক্ত ধোঁয়ার কারনে পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে বসবাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে চোখের বিভিন্ন সমস্যাসহ শ্বাসতন্ত্রজনিত সমস্যা যেন লেগেই থাকে।

ইটভাটা, কাঠের চুলিস্নতে ব্যবহার, অধিক জনসংখ্যার চাপ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বন উজাড় হচ্ছে। বনজ সম্পদ রক্ষা করা না হলে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটবে, যার প্রভাব পড়বে প্রকৃতিতে। দিনের পর দিন এমনি ভাবে বনজ সম্পদ কেটে চলেছে যার কারণে পরিবেশ আজ বিপর্যয়ের মুখে।

খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আসিফুর রহমান বলেন, 'আমরা খুলনা বিভাগের বিভিন্ন উপজেলায় প্রতিদিন কোথাও না কোথাও অভিযান পরিচালনা করছি। গত বছর পাইকগাছায় অভিযান চালিয়ে কয়লার চুলিস্ন ভেঙে দিয়েছিলাম এবং ইটভাটার মালিককে জরিমানা করা হয়। কিন্তু আমরা চলে আসার পর আবার নতুন করে শুরু করে। শিগগিরই ফের অভিযান চালাব।'

কাহারোল (দিনাজপর) প্রতিনিধি জানান, দিনাজপুরের কাহারোলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুইলাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে ঢেপা নদীতে। নদী হতে অবৈধভাবে ড্রাম ট্রাক দিয়ে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বোরহান উদ্দীন ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলনকারী মাহমুদুল হাসান মিশুকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুইলাখ টাকা জরিমানা করেন।

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি জানান, নীলফামারীর সৈয়দপুরে তিনটি ইটভাটা মালিকের কাছ থেকে তিনলাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সায়ীদ মুহাম্মদের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়েছে।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের আইন ভঙ্গ করায় উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের দলুয়াস্থ এজাজ ইসলামের এএসবি ব্রিকস নামে ইটভাটার মালিক এজাজুল ইসলাম, বিপিএল-২ ইটাভাটার মালিক সুরেশ সিংহানিয়া ও কামারপুকুর এলাকায় অবস্থিত এমএ ব্রিকস ইটভাটার মালিক এরশাদুল ইসলামের কাছ থেকে থেকে একলাখ করে মোট তিনলাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ সময় ভাটার ইট পোড়ানোর চুলিস্নতে পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে দেওয়া হয় ও পানি স্প্রে করে কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়।

অভিযান পরিচালনাকালে পরিবেশ অধিদপ্তর নীলফামারী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুলস্নাহ্‌ আল মামুন, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য, আইন-প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পরিবেশ অধিদপ্তর নীলফামারী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুলস্নাহ্‌ আল মামুন জানান, ইটভাটা মালিকদের কৃষি জমি থেকে মাটি সংগ্রহ করে ইটভাটা পরিচালনা না করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের তেমুহানী এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসন। সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় মোবাইল কোর্টের উপস্থিতি টের পেয়ে মাটিখেকোরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি এক্সক্যাভেটর জব্দ করা হয়।

ইউএনও মিল্টন বিশ্বাস বলেন, 'আমরা প্রতিনিয়ত ফসলি জমির মাটি কাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছি। জনস্বার্থে ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।'

অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলা এনএসআই প্রতিনিধি রাসেল শেখ, উপজেলা সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফয়সাল আমীর, সাতকানিয়া থানার পুলিশ সদস্য ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়ায় ইউনিয়নের রাবারড্যাম এলাকায় মোবাইল কোর্টের অভিযান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত মঙ্গলবার বিকেলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে বরুমচড়া রাবারড্যাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদ আবছার নামের এক ব্যাক্তিকে বালু সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের অভিযোগে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হুছাইন মোহাম্মদ। ভবিষ্যতে রাবারড্যাম সংলগ্ন এলাকায় বালু সংরক্ষন ও বিক্রয় করবে না মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।

অভিযানের বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হুছাইন মুহাম্মদ জানান,হাইড্রোলিক এলিভেটর ড্যামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও মহাল গড়ে তুলে বিক্রির অপরাধে মোহাম্মদ আবছারকে একলাখ টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে এমন কাজ করবেন না মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়। যদি আবারো কার্যক্রম পরিচালনা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় আনোয়ারা থানার আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বরুমচড়া ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি জানান, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চলে গড়ে ওঠা ছারপত্র বিহীন ৬টি ইটভাটার মালিককে জরিমানা করে গুড়িয়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) সাবরিন আক্তার ও টাঙ্গাইল জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক। গত মঙ্গলবার দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করেন।

পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রেস রিলিজ থেকে জানা যায়, টাঙ্গাইল ঘাটাইল উপজেলা ফসলি জমিতে প্রশাসনের ছারপত্র বিহীন অবৈধ উপায়ে ইটভাটা পরিচালনা করে আসছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই স্থানে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন ও টাঙ্গাইল জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা। অভিযানে ৬টি ইটভাটা মালিককে ২২লাখ টাকা জরিমানা ও ইটভাটার কিলন ভেঙে কাঁচা ইট ধ্বংস করে ইটভাটার আগুন নিভিয়ে দেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। জরিমানাকৃত ভাটাগুলো হলো ধলাপাড়া ইউনিয়নে মেসার্স সোনার বাংলা ব্রিকসকে ২লক্ষ টাকা,মেসার্স বংশাই ব্রিকস দুইলাখ টাকা, মেসার্স ভাই ভাই ব্রিকস ৭লাখ টাকা, রসুলপুর ইউনিয়নে মেসার্স যমুনা ব্রিকস ৪লাখ টাকা, মেসার্স তিতাস ব্রিকস ৪লাখ টাকা, মমিনপুর মেসার্স আঁকাশ ব্রিকসকে ৩লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউএনও শারমিন ইসলাম। প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেন কার্যালয়ের সহাকারী পরিচালক সজীব কুমার ঘোষ, আইনশৃংখলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি জানান, টাঙ্গাইলের সখীপুরে মেসার্স রায়হান ব্রিকস নামের একটি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার বিকেলে উপজেলার বহেড়াতৈল ইউনিয়নের কালিয়ান গ্রামে অবৈধ এ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ইউএনও আব্দুলস্নাহ আল রনী। এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুস সামা উপস্থিত ছিলেন।

ইটভাটার স্বত্বাধিকারী মো. খোরশেদ আলম ওই ভাটার লাইসেন্সসহ সংশ্লিষ্ট বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইটভাটার চিমনিসহ ভাটার স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুলস্নাহ আল রনী বলেন, লাইসেন্সসহ অন্য কোন অনুমোদন না থাকায় ইটভাটাটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি সাংবাদিকদের জানান।

এর আগে গত সোমবার ও মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) নাজমুস সামা তিনটি ইট ভাটায় অভিযান চালান। অভিযান করে উপজেলার বহেড়াতৈল গ্রামে পূবালী ব্রিকস এর স্বত্বাধিকারী আব্দুর রহিমকে ২লক্ষ টাকা, বেড়বাড়ী জেডিএম ব্রিকস এর মালিক মো.আলমকে এক লক্ষ টাকা এবং একই গ্রামের এফ এফ থ্রি ভাটার মালিক নজরুল ইসলামকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেন।

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি জানান, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মঙ্গলবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে ৩ ইটভাটায় ও ২টি খাদ্যের দোকানে প্রায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ইট পোড়ানোর অনুমতি, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও মাটি ব্যবহারের অনুমতি না থাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. পপি খাতুন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। আদালত খন্দকার সুরুজ আলমের এসটিআর ব্রিকসকে ২ লক্ষ টাকা, তারিক মাহমুদ কবিরের কবির ব্রিকসকে ৩ লক্ষ টাকা, আখি ব্রিকসের ম্যানেজার মাহবুব আলম স্বপনকে ৩ লাখ টাকা অর্থদন্ড করা হয়। অপর দিকে ভোক্তা অধিকার আইনে খাদ্যে ভেজাল ও ভেজাল বস্তা ব্যবহারের অভিযোগে নিকরাইল বাজারের হারুন কে ৫০ হাজার টাকা এবং গোবিন্দাসী বাজারের শাহ আলমকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে যৌথভাবে উপজেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ অংশ নেয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার পপি খাতুন বলেন, অবৈধ ইট ভাটা ও ভেজাল বিরোধি অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে