পাবনার ঈশ্বরদীতে যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতন করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূর মৃতু্য হয়।
নিহত রিয়া খাতুন উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের হঠাৎ পাড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে এবং অভিযুক্ত স্বামী হৃদয় হোসেন বিপু একই গ্রামের মিনারুল ইসলামের ছেলে।
জানা যায়, গত রোববার উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের হঠাৎ পাড়া গ্রামের ভাড়া বাসায় যৌতুককে কেন্দ্র করে গৃহবধূ রিয়াকে পিটিয়ে গুরুতর আহত ও শ্বাসরোধে হত্যাচেষ্টা করেন স্বামী হৃদয় হোসেন বিপু। ঘটনার পর থেকেই বিপু ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।
প্রায় চার বছর আগে বিপুর সঙ্গে রিয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে কয়েক দফায় যৌতুকের নামে টাকা আদায় করেছেন বিপু। পেশায় একজন ট্রাকচালক হলেও শ্বশুর বাড়ি থেকে নেওয়া যৌতুকের টাকা দিয়ে জুয়া ও মাদক সেবন করতেন তিনি। টাকা চেয়ে না পেলে অস্বাভাবিক নির্যাতন চালাতেন রিয়ার উপর।
সম্প্রতি ট্রাক কেনার নামে রিয়ার কাছে তার বাবার বাড়ি থেকে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা এনে দিতে বলেন বিপু। এতে রিয়া অপারগতা প্রকাশ করলে বিপু রাগান্বিত হয়ে রিয়াকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। একইসঙ্গে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয়রা টের পেলে ঘরের দরজা ভেঙে আহত অবস্থায় রিয়াকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দুদিন পর চিকিৎসাধীন থাকার পর রিয়ার মৃতু্য হয়।
রিয়ার বাবা মিজানুর রহমান বলেন, 'দাবি অনুযায়ী যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় নির্যাতন চালিয়ে আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।'
ঈশ্বরদী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মারধরের কারণে তার মৃতু্য হয়েছে। নিহতের পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি জানান, নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় পারিবারিক বিরোধের জেরে ভাগ্নের হাতে মামা খুনের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের পোড়াবাড়ী গ্রামে হৃদয়বিদারক এ হত্যাকান্ড ঘটে।
জানা যায়, পারিবারিক কলহের কারণে ভাগ্নে মাজহারুল (২৫) ও তার মামা কাঞ্চন মিয়ার (৫৫) কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ঝগড়ায় গড়ালে মাজহারুল তার মামাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে স্থানীয়রা কাঞ্চন মিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।