আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন কয়েক দফা প্রস্তুতি নিয়েও সম্মেলন করতে পারেনি আজমিরীগঞ্জ পৌর বিএনপি। এবার দীর্ঘ ১৫ বছর পর আগামী ১২ ফেব্রম্নয়ারি এ ইউনিটের সম্মেলনের ঠিক করতে।
ফলে দীর্ঘ প্রতিকূল পরিস্থিতির পর অবশেষে আজমিরীগঞ্জে গরম হয়েছে বিএনপির রাজনীতির মাঠ। ইতিমধ্যে পৌর বিএনপির ৩টি প্যানেল প্রার্থীতা ঘোষণা করে কাউন্সিলরদের সাথে মজবুতের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে।
আগামী বুধবার (১২ ফেব্রম্নয়ারি) পৌর শহিদ মিনার মাঠে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে এবং এদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৯ সালের শেষ শহিদ মিনারমাঠে পৌর বিএনপির সম্মেলনের অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর আলী আহম্মদ জনফুল মিয়াকে আহ্বায়ক দিয়ে ৩৫ সদস্যের কমিটি দেওয়া হয়। এ কমিটি ওয়ার্ডভিত্তিক কমিটি গঠন করে ২০২২ সালের ২৩ এপ্রিল, ২০ মে ও ৪ নভেম্বর সম্মেলনের প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন এ সময় প্রতিহিংসার কারণে সম্মেলন করতে পারেনি।
অবশেষে গত ৫ আগস্ট গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশের পট পরিবর্তন হলে সম্প্রতি পৌর বিএনপির সম্মেলনের তফসিল ঘোষণা করা হয় এবং প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকেই বিএনপি নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বসিত। কারা আসছেন এ ইউনিটের নেতৃত্বে এনিয়ে সর্বত্র আলোচনা চলছে। ৫টি পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সভাপতি পদে তিনজন- সাবেক সভাপতি ফজলু মিয়া (চেয়ার প্রতীক), সাবেক পৌর কমিশনার ও বিএনপি নেতা নেকদার আলী (আনারস প্রতীক) এবং পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস সাত্তার মিয়া (ছাতা প্রতীক) পেয়েছেন।
এছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন, সিনিয়র সহ সভাপতি পদে পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু নাথ (জগ প্রতীক) ও বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম (তালা প্রতীক), সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন (মাছ প্রতীক) ও যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি সাহিদুল ইসলাম (হরিণ প্রতীক), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে পৌর কৃষক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাইমুল আলম (কলস প্রতীক) ও যুবদল নেতা রাজিব হাসান (আম প্রতীক), সাংগঠনিক সম্পাদক পদে পৌর বিএনপির সদস্য আরফান আলী (মাইক প্রতীক) এবং যুবদল নেতা মিটন মিয়া (মোটরসাইকেল প্রতীক)।
আজমিরীগঞ্জ পৌর বিএনপির ৯টি ওয়ার্ড কমিটিতে থাকা ৫১৩ জন কাউন্সিলর গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ওই ১১ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫ জনকে নেতা নির্বাচন করবেন।
ইউনিটের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক খালেদুর রশীদ ঝলক বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে তিনবার সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হলেও নেতাকর্মীর উপর মামলা, নির্যাতন ও গ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন কারণে সফল হয়নি। বর্তমান সময়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের গনতান্ত্রিক আন্দোলনকে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে সম্মেলনের বিকল্প নেই। আমরা সেই কাজটি করছি।
নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেন, ভোট গ্রহণের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলন ও কাউন্সিল উৎসবমুখর হবে বলে আমরা আশাবাদী।