প্রবাসী এনামুল হক ইমামুল হত্যার বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার বড় বোন মোসা. পারভিন। মঙ্গলবার গাজীপুর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
সম্মেলনে মোসা. পারভিন জানান, তার ছোট ভাই এনামুল হক ইমামুল প্রায় ১৭ বছর বিদেশে থাকার পর ছয় মাস আগে দেশে ফেরেন। গত ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ সকালে তিনি কৃষিকাজের প্রয়োজনে নগদ টাকা জন্য পারভিনের স্বামীর বাড়ি ধলিসুতায় আসেন এবং পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে নিজ বাড়ি তিলশুনিয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। পথে চাঁদপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সে কিছু লোকজনকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দৌড়ে প্রবেশ করতে দেখেন। এসময় এনামুল কৌতূহলবশত সামনে এগিয়ে যান এবং ঘটনাটি ভিডিও করতে গেলে ১৫-১৬ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
এ সময় তারা এনামুলকে এলোপাথাড়ি ভেদরম মারধর করে তার মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। হামলাকারীরা হলেন- চাঁদপুর গ্রামের সোলাইমানের ছেলে তারেক, তিলশুনিয়ার আব্দুল আজিজের ছেলে রবিন, ভাকোয়াদির আজিজুলের ছেলে রিপন, একই গ্রামের বকুল, কোটবাজালিয়ার সামসুদ্দিন খানের ছেলে মো. সিফাতুলস্নাহ ও বড়পুশিয়ার মনির হোসেনের ছেলে সাকিবের নাম উলেস্নখ করেন মোসা. পারভিন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, পরিবারের সদস্যরা আহত অবস্থায় এনামুলকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসা শেষে তিনি বাড়ি ফিরলেও ১৫ জানুয়ারি বিকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ওইদিন রাত ১১টার দিকে এনামুল মারা যান।
এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।