চাঁদপুর সড়ক বিভাগে ৭২ পদের ৪০টি শূন্য
প্রকাশ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর সড়ক বিভাগে অনুমোদিত জনবলের অর্ধেকের বেশি পদেই নেই কোনও কর্মকর্তা-কর্মচারী। বর্তমানে সড়ক বিভাগের ৭২টি পদের মধ্যে ৪০টি পদই শূন্য। দীর্ঘদিন ধরে জনবল সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের কর্মকান্ড। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ কাজে।
এ ছাড়া চলতি মাসে আরও দুই জন, মার্চে একজন অবসরে যাবেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দফায় দফায় তাগিদ দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। জনবল নিয়োগ না হওয়ার কারণে পদগুলো শূন্য হয়ে আছে।
জানা যায়, সড়ক বিভাগে ১১তম থেকে ২০তম গ্রেডে দীর্ঘদিন ধরেই কোনও জনবল নিয়োগ হয়নি। এ ছাড়া মামলা জটিলতার কারণেও কয়েকজন কর্মকর্তার নিয়োগ আটকে আছে। জনবল সংকটের বিষয়টি জানিয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ গত বছরের নভেম্বর মাসে বন্যাপরবর্তী সময়ে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী চাঁদপুর ভিজিটে আসলে সেখানেও ওঠে আসে জনবল সংকটের বিষয়টি। সে সময় চিফ ইঞ্জিনিয়ার জনবল সংকট সমাধানের আশ্বাস দেন। কিন্তু এখনও পদগুলোতে কোনও জনবল নিয়োগ হয়নি। উপরন্তু প্রতিমাসেই অবসরজনিত কারণে বাড়ছে শূন্যপদের সংখ্যা।
চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় সওজ বিভাগাধীন অনুমোদিত ৭২টি পদের মধ্যে ৪০টি পদই শূন্য রয়েছে। এসব পদের মধ্যে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী নেই ১ জন, উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) নেই ৩ জন, কম্পিউটার অপারেটর নেই ১ জন, এসএসি (ক্যাশিয়ার) নেই ১ জন, উচ্চমান সহকারী নেই দুই জন, ওয়ার্ক সুপারভাইজার নেই দুই জন, ড্রাফটস ম্যান একজন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পাঁচ জন, কার্য সহকারী ছয় জন, ট্রেসার একজন, মেশন একজন, ক্যাশ সহকারী একজন, বিটুমিন মিস্ত্রি দুই জন, অফিস সহায়ক দুই জন, হেলপার একজন, সড়ক শ্রমিক চার জন, মালি একজন, স্টকগার্ড দুই জন, নিরাপত্তাপ্রহরী তিন জন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে পদগুলোতে কোনও জনবল না থাকার কারণে অফিসের কাজে একধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে। তিন জনের কাজ একজনকে করতে হচ্ছে। এভাবে চলতে পারে না। শূন্যপদগুলোতে জনবল নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সওজের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
চাঁদপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আলিউল হোসেন বলেন, আমাদের জনবল সংকট আছে। আর জনবল কম থাকলে কর্মকান্ড কিছুটা ব্যাহত হবে এটি স্বাভাবিক। কারণ, তিন জন লোক থাকলে যেভাবে কাজকর্ম করতে পারবে একজন লোক থাকলে সেভাবে হবে না। তার ওপর চাপ পড়ে যায়। আমরা বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখেছি। আশা করি, সমস্যার সমাধান হবে।