গত রোববার সন্ধায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। টুঙ্গিপাড়া উপজেলার খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি চলাকালে সাফায়েত নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। সাফায়েতকে ছাড়িয়ে নিতে তাকে ঘিরে ধরে এলাকাবাসী। এরপর পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিক্ষিপ্ত এলাকাবাসী লাঠি ও ইট-পাটকেল ব্যবহার করে। আহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ওসি খোরশেদ আলম, ওসি অপারেশন আওরঙ্গজেব, এএসআই আলাউদ্দিন, হাফিজ, খালেক, পুলিশ সদস্য আমিনুল, মাসুদ ও শাহীন।

এ বিষয়ে টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খোরশেদ আলম জানান, 'আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা লিফলেট বিতরণ করছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাফায়েত নামে এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তার সহযোগীরা পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয় এবং পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে সেনাবাহিনীর সাজুয়া যান দিয়ে সারারাত টুঙ্গিপাড়া থানা ঘিরে রেখেছিল এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশর্ যাব ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। টুঙ্গীপাড়া এলাকার পরিবেশ থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। টুঙ্গিপাড়া ইউএনওমঈনুল হক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, 'খবর পাওয়ার পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে এক পুলিশ সদস্যকে স্থানীয়দের কাছ থেকে উদ্ধার করে থানায় পাঠিয়েছি। সূত্রে জানা যায় এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। যার আসামি ১৭১ জন এবং অজ্ঞতানামা আছে আরও ৩৫০ জন।'