টাঙ্গাইলে গলাকেটে রডমিস্ত্রির হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রথম আলো পত্রিকা নিষিদ্ধের দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ ও জয়পুরহাটের কালাইয়ে প্রধান শিক্ষকসহ তিনজনের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন হয়। আঞ্চলিক অফিস, স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধির পাঠানো বিস্তারিত খবর-
বরিশাল অফিস জানায়, প্রথম আলো নিষিদ্ধ ও আনিসুল হকের শাস্তির দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার বিকালে বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের সামনে থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতার ব্যানারে করা বিক্ষোভ মিছিল নগরীর নথুলস্নাবাদ বাস টার্মিনালের গোলচত্বর হয়ে জিয়া সড়কের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সভা হয়। বক্তব্য রাখেন আগরপুর ডিগ্রি কলেজের ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গোলাম মাহমুদ ও একই কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মনিরুজ্জামান আসাদ। তারা আনিসুল হকের শাস্তি ও প্রথম আলো পত্রিকা বন্ধের দাবি জানান।
স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল জানান, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রডমিস্ত্রী ফুলচান মিয়াকে গলাকেটে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে দাইন্যা ইউনিয়নবাসী। সোমবার টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী ওই কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন দাইন্যা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লাভলু মিয়া লাবু, টাঙ্গাইল জেলা রাজ ও রড মিস্ত্রি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. আব্দুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদত হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদ মিয়া, নিহত রড মিস্ত্রি ফুলচানের বাবা স্বন্দেশ মিয়া প্রমুখ।
কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি জানান, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতকারী একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীর অপসারণের দাবিতে জয়পুরহাটের কালাইয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। রোববার জেলার জয়পুরহাট-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কালাই উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে আঁওড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সচেতন অভিভাবকের ব্যানারে এ মানববন্ধন হয়। কিন্তু ওই গ্রামবাসীও এ মানববন্ধনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
মানববন্ধনে আঁওড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা, সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহারুল আলম এবং অফিস সহকারী মামুনুর রশিদের অবসারণসহ তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বক্তব্য দেন, হারুনুর রশীদ, জাহাঙ্গীর আলম, মো. জনি প্রমুখ। এ সময় বক্তারা বলেন, আঁওড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা তার প্রতিষ্ঠানের চাকবিজীবী শাহারুল আলম এবং মামুনুর রশিদের সঙ্গে যোগসাজশ করে এ প্রতিষ্ঠানের অন্তত ৫১ জনের উপবৃত্তির টাকা কৌশলে আত্মসাৎ করেছেন। অভিযুক্তরা শিক্ষার্থীদের নাম ঠিক রেখে, তাদের (বিকাশ একাউন্টযুক্ত) মোবাইলের ঘরে নিজেদের পরিচিত জনদের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেন। এভাবেই তারা দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির লক্ষাধিক টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন।