বগুড়ার এরুলিয়া বিমানবন্দর মোড় এলাকায় বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে হাত-পা বেঁধে ডাকাতির ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়া সদর থানা পুলিশ। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহারের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ও লুন্ঠিত স্বর্ণলঙ্কার ও কিছু টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলেন- জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার মৃধাপাড়া এলাকার মৃত সামাদ ইসলামের পুত্র সুলতান, কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ডাংহাট এলাকার আব্দুল মালেকের পুত্র মমিনুর রহমান, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দেবচন্ডি এলাকার সাইফুল ইসলামের পুত্র মুকুল ইসলাম, আদমদিঘী উপজেলার হাতিয়াগ্রামের বাবলু শেখের পুত্র রাকিব শেখ ও শাকিল শেখ, কাহালু উপজেলার আলোরা গ্রামের রফিকুল ইসলামের পুত্র আল-আমিন ও সোনাতলা উপজেলার শিহিপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের পুত্র লাদেন।
রোববার দুপুরে বগুড়া পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র সুমন রঞ্জন সরকার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। এ সময় তিনি বলেন, গত ২৮ জানুয়ারী রাতে ৬-৭ জনের একটি দল বিমানবন্দর মোড়ের কামাল হোসেনের বাড়িতে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সকলের বেঁধে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে। ওই সময় হাতের বাঁধন খুলে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। ডাকাতরা নগদ টাকা ও স্বর্ণলংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় একটি মামলা হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৭ জন দুর্ধর্ষ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী ডাকাতির সময় ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি নগদ ৩৫০০ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় একটি মামলা দিয়ে আসামিদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি জানান, দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে মারপিটের মামলায়, এলুয়াড়ী ইউনিয়ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ (৩৭) এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাব্বত হোসেনকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত ৮টায় উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের রোববার দিনাজপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার এরশাদ উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের তশিবপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদ চৌধুরীর ছেলে ও ওই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। অপর ব্যক্তি মোহাব্বত হোসেন একই ইউনিয়নের বড়গাছা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তথ্য নিশ্চিত করেছেন,ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম খন্দকার মুহিব্বুল ইসলাম।