নেছারাবাদে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা করে জীবন নাশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আছিয়া বেগম নামে এক নারী ইউপি সদস্য। উপজেলার স্বরূপকাঠি ইউনিয়নের পানাউলস্নাহপুর গ্রামের আবুল বাশার ওই ইউপি সদস্য আছিয়াকে বস্নাকমেইল করে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে তাকে শারীরিক নির্যাতনসহ নানাভাবে নগদ টাকা পয়সাসহ হাতিয়ে নিয়েছেন স্বর্ণালঙ্কার। এক পর্যায়ে ওই ইউপি সদস্য আছিয়া নি:স্ব হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে পিরোজপুর কোর্টে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় আবুল বাশার জামিনে বেরিয়ে এসে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগে ভুক্তভোগী ইউপি সদস্য আছিয়া বেগম বলেন, তিনি সুনামের সহিত এলাকায় জনপ্রতিনিধিত্ব করেন। এ সুবাধে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে তাকে চলাফেরা করতে হয়। পানাউলস্নাহপুর গ্রামের আবুল বাশার তাকে বস্নাকমেইল করে বিয়ের প্রস্তাব দেন। আছিয়া নিরুপায় হয়ে তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর আছিয়াকে ফুসলিয়ে ধাপে ধাপে তার থেকে আট লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এর কিছু দিন পর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) থেকে পিরোজপুর-২ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হন আবুল বাশার। তার নির্বাচনে যাবতীয় খরচের ব্যায়ভার নেন স্ত্রী আছিয়া।
অভিযোগে আছিয়া বলেন, আবুল বাশার স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা। আওয়ামী লীগের নেতা হয়েও নৌকার বিরুদ্ধে প্রার্থীতা করে একই আসনের স্বতন্ত্র ঈগল মার্কার প্রার্থীর নিকট পাচ লাখ টাকার বিনিময়ে এজেন্ট বিক্রি করেন। আছিয়া আরও অভিযোগ করেন- তাকে বিয়ের পর জানতে পারেন স্বামী আবুল বাশার পিলার ব্যবসাসহ দেশ বিরোধী অনেক কাজ করেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ কারনে আবুল বাশার কারনে অকারনে তাকে মারধর শুরু করেন। পরে আবুল বাশার তাকে ডিভোর্স দেন। কিছুদিন পর তার কাছে মাফ চেয়ে পূনরায় বিয়ে করার কথা বলে ঢাকায় একটি হোটেলে নিয়ে যান। সেখানে বসে তার বিকাশ এবং রকেট অ্যাকাউন্ট থেকে দুই লাখ পঁচাত্তর হাজার টাকা হাতিয়ে তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেন। এ কারণে তার বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করেছেন। সেই মামলা থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন আবু বাশার। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল বাশার বলেন, 'সব মিথ্যা। আছিয়া আমার বিরুদ্ধে পাচটি মিথ্যা মামলা দিয়েছে।'