ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপিপন্থী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ভরাডুবি হয়েছে। নির্বাচনে ১৫টি পদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্যানেল ১০টি পদে অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ৭টি পদেই জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রার্থীরা পরাজিত হন।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্যানেল থেকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, তথ্য-প্রযুক্তি সম্পাদক ও ৪নং সদস্য পদের প্রার্থী জয়লাভ করেন।
নির্বাচনে সভাপতি পদে জয়লাভ করেছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী এ.কে.এম কামরুজ্জামান মামুন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জয়লাভ করেছেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতা ও জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল।
নির্বাচনে ১৫টি পদে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এরমধ্যে সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেন। বাকি ১৩টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এই নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ থেকে সভাপতি পদে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। সভাপতি পদে জয়লাভ করেছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী এ.কে.এম কামরুজ্জামান মামুন ৩৩৪ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রার্থী আবদুর রহমান পেয়েছেন ২৪৬ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের মফিজুর রহমান বাবুল ৩৭৬ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সামসুজ্জামান চৌধুরী কানন পেয়েছেন ১৫৪ ভোট।
এছাড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে শামসুল হক লিটন, সহ-সভাপতি পদে কাজী এখলাছুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-১ পদে আশরাফুল ইসলাম খান (চমন), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-২ পদে মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন, সম্পাদক পাঠাগার পদে জিলস্নুর রহমান, সম্পাদক তথ্য-প্রযুক্তি পদে মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী তারেক, অডিটর পদে রেজুয়ানুর রহমান রনি, সদস্য পদে জহিরুল ইসলাম, শেখ সাজিদুর রহমান সজিব, শাহ সুলতান রকি ও মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী জয়লাভ করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ শেষে রাতে নির্বাচনের এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ ইসমাইল মিয়া এই ফলাফল নিশ্চিত করেছেন।
স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী জানান, নীলফামারী জেলা আইনজীবী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে জামায়াত সমর্থিত আল ফারুক আব্দুল লতিফ সভাপতি এবং বিএনপি সমর্থিত আল মাসুদ চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার জেলা আইনজীবী সমিতির সভা কক্ষে ভোটগ্রহণ শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
সভাপতি পদে আল ফারুক আব্দুল লতিফ ৯৮ ভোট পেয়েছেন। তিনি জেলা জামায়াতের সহ সাধারণ সম্পাদক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু মো. সোয়েম পেয়েছেন ৮৪ ভোট। তিনি জেলা জজ আদালতের জিপি এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এই পদে তিন প্রার্থীর মধ্যে অপর প্রার্থী পৌর আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আব্দুল লতিফ সরকার পেয়েছেন ৩১ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে আল মাসুদ চৌধুরী ১১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি জেলা জজ আদালতের পিপি ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আওয়ামী লীগ সমর্থিত মো. কামরুজ্জামান শাসন পেয়েছেন ৬৬ ভোট। এই পদে তিন প্রার্থীর মধ্যে অপর প্রার্থী ছাত্রদলের পৌর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী ফয়েজ-উল হক শিশির পেয়েছেন ৩৩ ভোট।
সহ-সভাপতি আওয়ামী লীগ সমর্থিত আবুল কালাম আজাদ ১১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত আশরাফুল লতিফ কিবরিয়া পেয়েছেন ৮১ ভোট। ১৩০ ভোট পেয়ে বিএনপি সমর্থিত হাসনেন ইমাম সোহেল যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বাবু সন্তোষ কুমার বিশ্বাস পেয়েছেন ৭৯ ভোট। ১২২ ভোট পেয়ে সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন পৌর বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এবং নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবু্যনাল-২ এর পাবলিক প্রসিটিউটর গোলাম মোস্তফা সজীব। তার নিকটতম আ'লীগ সমর্থিত সেলিম শাহ্ পেয়েছেন ৯১ ভোট। ১০৯ ভোট পেয়ে কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন জেলা যুবদলের আইন বিষয়ক সম্পাদক এবং নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবু্যনাল-১ এর পাবলিক প্রসিটিউটর আসাদুজ্জামান খান রিনো।
সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোটগ্রহন চলে। গণনা শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা নীলফামারী আইনজীবী সমিতির সদস্য আবু আহমেদ নুরুল জাকী। নীলফামারী আইনজীবী সমিতির ২২১ জন ভোটারের মধ্যে ২১৬জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।