গাজীপুরের কাপাসিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ ওহাব খান খোকাকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। আটক চেয়ারম্যান এমএ ওহাব খান খোকা (৬৫) উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের খিলগাঁও গ্রামের মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
তিনি দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
চেয়ারম্যান এমএ ওহাব খান খোকার স্ত্রী লাইলী বেগম জানান, 'বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে তিনি ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত ছিলেন। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমার স্বামী আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছিলেন। গত ৫ আগস্টের পরে যাদের ক্ষমতা আছে তাদের কিছু লোকজন দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। আমি নাম বলতে চাই না, ওইসব লোকজনকে চাঁদা না দেওয়ায় আজ তাকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে মারধর করেছে। এতে আমার স্বামী গুরুতর আহত হন। আমার স্বামীর কাছে থাকা নগদ ৮০ হাজার টাকা, ৩ লাখ টাকার স্বাক্ষরিত চেক, একটি মোবাইল ফোন সন্ত্রাসীরা হাতিয়ে নেয়। পরে তারা আমার স্বামীকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। আমি ন্যয় বিচার চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউনিয়ন পরিষদের একজন কর্মকর্তা জানান, সকাল ১১টায় দুর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ ওহাব খান পরিষদে আসেন। এসে তিনি অফিসিয়াল কাজ কর্ম করেন। তিনি প্রায় ২ ঘন্টা পরিষদে বসে কাজ করেন। দুপুর ১টার দিকে তাকে কিছু যুবক পরিষদে এসে মারধর শুরু করেন। এ সময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পরেন।
কাপাসিয়া থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, কাপাসিয়া উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ ওহাব খান খোকাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নামে স্থানীয় জুনায়েদ হোসেন লিয়ন বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় একটি অভিযোগ (২৩/০৯/২০২৪) দায়ের করেছেন। ওই মামলার তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিকে শুক্রবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
চাঁদা চাওয়ার বিষয়ে ওসি বলেন, 'এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। জনতা কেন আটক করেছে তা আমার জানা নেই।'