যশোরে গুলিবিদ্ধ হানিফ নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তিনি ঢাকাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। শুক্রবার সকালে তার লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
হানিফের স্ত্রী শিরিন জানান, ঢাকা মেডিকেলে তার বড় একটি অপারেশন করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত ২টয় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরেন তিনি। পরে আইসিইউতে নেওয়ার প্রস্ততি চলছিল। এমন সময় হানিফ মারা যান।
তিনি আরও জানান, ঘটনার দিন বুধবার সকালে বার বার হানিফকে কল করেছিলো
জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম টুটুল। এক পর্যায়ে টুটুলের বাড়ি উদ্দেশে বের হন হানিফ। রাতে জানতে পারেন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি কাজী বাবুল জানান, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তবে, চেয়ারম্যান টুটুলকে আটক করলেই বিস্তারিত জানা যাবে।
উলেস্নখ্য, গত বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিয়ে হানিফকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম টুটুল। এরপরই তিনি পালিয়ে যান। এ সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন গুলিবিদ্ধ হানিফ। তিনি একেক সময় একেক রকম তথ্য দিতে থাকেন। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তিনি মারা যান।