বনের জমি উদ্ধার :মাইকিং করে কর্মকর্তা কর্মচারীদের আটক-নির্যাতন
প্রকাশ | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা সদর থেকে থেকে ২৫ কি.মি. দূরে ধলাপাড়া ইউনিয়নের আষাড়িয়া চালা অবৈধ দখলে থাকা বন বিভাগের জমি উদ্ধার করতে গিয়ে বন বিভাগ ও স্থানীয় গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ৯ বন কর্মকর্তা। গত বৃস্পতিবার সকাল ৯টায় এ ঘটনা ঘটে। এ মসজিদে মাইকিং করে বন কর্মকর্তাদের মাদ্রাসার ভেতরে আটক করে নির্যাতন চালানো হয়।
খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবরিন আক্তারসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গিয়ে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সংঘর্ষে আহত ৮ বন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ধলাপাড়া সদর বিট অফিসার আ. কুদ্দুছ, ফরেস্ট গার্ড আশরাফুল ইসলাম, মাসুদ এবং শরিফ মিয়া টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যদিকে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে চিকিৎসাধীন আছেন ফরেস্ট গার্ড জাহাঙ্গীর, গালিভ, আবু বকর ও মালি হান্নান।
ঘাটাইল ধলাপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা ওয়াদুদুর রহমান ও এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা আশারিয়াচালা, দিঘুলিয়া চালা বনবিভাগের জায়গায় নতুন ভবনের নির্মাণকাজ চলাকালে ধলাপাড়া সদর বন বিট কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে বন বিভাগের ৮ স্টাফ নির্মাণ কাজ বন্ধের জন্য যান। সে সময় গ্রামবাসী মাইকে ঘোষণা দিলে এলাকার মানুষ একত্রিত হয়ে তাদের ওপর হামলা করে।
আশারিয়া চালা এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী রুহুল আমিন বলেন, মাদিনাতুল উলুম রহমানিয়া নামক একটি মাদ্রাসা বন বিভাগের মৌখিক অনুমতি নিয়ে ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করে। বৃহস্পতিবার নির্মাণাধীন সেই ভবন উচ্ছেদ করতে গিয়ে মাদ্রাসার কয়েকজন ছাত্রকে মারধর করেন বন বিভাগের লোকজন। এ জন্য জনরোষের শিকার হন তারা।
ধলাপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা ওয়াদুদুর রহমান জানান, বন বিভাগের দায়িত্ব বনের জায়গা উদ্ধার করা। বিতর্কিত জায়গায় ধর্মকে ব্যবহার করা ঠিক না। বুঝিয়ে নেওয়া যেতো। কিন্তু এ ভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারী আটক করা ঠিক হয়নি।
ঘাটাইল থানার অফিসার্স ইনচার্জ রকিবুল ইসলাম বলেন, বনের জমিতে উচ্ছেদ করতে গিয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তারা মারধরের শিকার হন। খবর পেয়ে আমরা তাদের উদ্ধার করি।