তালতলীতে ব্রিজ ভেঙে খালে ২ পাড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশ | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার তালতলীতে খালে ভেঙে পড়া সংযোগ ব্রিজ -যাযাদি
বরগুনার তালতলী সদরের মাছ বাজার-খোট্রার চর সড়কে দীর্ঘদিন ঝঁকিপূর্ণ থাকা সংযোগ ব্রিজটি ভেঙে খালে পড়ে গেছে। ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় দুই পাড়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে প্রায় ১০ হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। দ্রম্নত বিকল্প ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস প্রশাসনের। শুক্রবার ভোর রাতে উপজেলা সদরের মাছ বাজার-খোট্রার চরের ব্রিজটি হঠাৎ খালে ভেঙে পড়ে। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। জানা যায়, উপজেলার খোট্রার চর-মাছ বাজার এলাকায় খালের ওপর ২০০০ সালের দিকে একটি ব্রিজ নির্মাণ করে এলজিইডি। ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরে সেতুটির কয়েকটি স্থান দেবে যায়। এরপর ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি আর সংস্কার করা হয়নি। ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন দুই পাড়ের কয়েক হাজার মানুষ পারাপার করতেন। হঠাৎ শুক্রবার ভোর রাতে খালে জোয়ারের পানির তীব্র স্রোতে ধসে পড়ে। এতে দুই পাড়ারে বাজারসহ কয়েকটি গ্রাম ও পর্যটন স্থানের প্রায় ১০ হাজার মানুষ এ ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করেন। এ এলাকার মধ্যে ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি বাজার, দুইটি এতিমখান, দুইটি মাদ্রাসা ও একটি পর্যটনস্থানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বর্তমানে ছোট্ট একটি ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে মানুষ। এই ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজটি সম্পূর্ণ ধসে খালের পানির মধ্যে পড়ে আছে। ব্রিজটির দুই পাড়ে স্কুল শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা হাটবাজারে যাওয়ার জন্য পারাপারের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। পারাপারের জন্য ঝুঁকি নিয়েই ডিঙি নৌকায় খাল পার হচ্ছেন। দুই পাড়ের ১০ হাজার মানুষের যাতায়াতের জন্য এই ব্রিজটিই একমাত্র মাধ্যম ছিল। মোশারেফ, আমির হোসেন ও আল আমিনসহ একাধিক স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, 'ব্রিজের পাশে আমাদের বাসা। ভোর রাতের দিকে হঠাৎ বিকট শব্দ পাই। কাছে গিয়ে দেখি ব্রিজটি ভেঙে খালে পড়ে আছে। এই ব্রিজটি প্রায় ১৬-১৭ বছরেও বেশি সময় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে আছে। স্থানীয়রা সংস্কার করে দীর্ঘদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেছে। পরে একাধিকবার নতুন ব্রিজ নির্মাণের আবেদন করা হলেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি স্থানীয় প্রকৌশলী বিভাগ। তাই দ্রম্নত নতুন একটি ব্রিজ নির্মাণ করা দরকার।' উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা বলেন, 'আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিকল্পভাবে চলাচলের জন্য আপতত একটি কাঠের ব্রিজ তৈরি করে দেওয়া হবে। কোন দপ্তর ব্রিজটি নির্মাণ করেছে সেটা জেনে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তীতে নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রতিবেদন পাঠানো হবে।'