নেত্রকোনার দুর্গাপুরে টংক ও জমিদার প্রথা উচ্ছেদ আন্দোলনে শহীদ রাশিমণির প্রয়াণ দিবসে সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নানা শ্রেণির মানুষ -যাযাদি
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির আয়োজনে টংক ও জমিদার প্রথা উচ্ছেদ আন্দোলনের অন্যতম মহীয়সী নারীনেত্রী শহীদ রাশিমণির ৭৯তম প্রয়াণ দিবস পালিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার বহেরাতলী গ্রামের রাশিমণি স্মৃতিসৌধ চত্বরে দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন হাজংমাতা রাশিমণি মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য বিপুল হাজং।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মহান নেত্রীর স্মৃতির প্রতি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। পরে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ হয়।
বিরিশরি কালচারাল একাডেমির পরিচালক গীতিকবি সুজন হাজংয়ের সভাপতিত্বে ও নৃত্য শিক্ষক মালা মার্থা আরেং ও দোলন হাজংয়ের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ জাতীয় হাজং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পল্টন হাজং, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ জিন্নাহ, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, কুলস্নাগড়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব শাহ আলম, সাবেক উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাবুল, অ্যাডভোকেট সজয় চক্রবর্তী, বিরিশিরি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা এমএন আলম প্রমুখ।
১৯৪৬ সালের ৩১ জানুয়ারি তৎকালীন ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার বাহিনীর সৈনিকেরা জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন কুমুদিনী হাজংকে। সেদিন রাশিমনি তাদের রুখে দাঁড়িয়েছিলেন এবং তাদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন। নারী নির্যাতন বিরোধী আন্দোলনের প্রতীক রাশিমনি একজন নারীর সম্ভ্রম রক্ষায় জীবন দিয়েছিলেন বহেরাতুলীর মাটিতে। যার জন্য মহিয়সী নারী রাশিমনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন সেই কিংবদন্তি নারীর নাম কুমুদিনী হাজং।