দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলায় চিরিনদী খালের উপর নির্মিত স্স্নুইসগেটটি দীর্ঘ একযুগের বেশি সময় ধরে কৃষকের কাজে আসছে না। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকায় চুরি হয়ে গেছে স্স্নুইস গেটটির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। স্স্নুইস গেট অকেজো হওয়ায় নদী পারাপারে কৃষকরা কৃষি পণ্য আনা নেওয়া জন্য পড়ে চরম ভোগান্তিতে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কারো কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই এ বিষয়ে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, চিরিনদীতে কৃষকের সেচ সুবিধার জন্য শুষ্ক মৌসুম পানি আটকিয়ে আলু ভুট্টা রসুন সরিষা ও বোর ধানে কম খরচে পানি দেয়াড় জন্য দীর্ঘদিন থেকে এখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি স্স্নুইস গেট ছিল। সেটি দিয়ে কৃষকরা উপকৃত হত। পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্স্নুইস গেটটি পরিত্যক্ত হয়ে বর্নার পানিতে ভেঙে পড়ে। এসময় কৃষকদের ভোগান্তি দূর করতে এলজিডি একটি অপরিকল্পিত স্স্নুইস গেট নির্মাণ কাজ শুরু করে সেখানে। স্স্নুইস গেটটির নির্মাণ কাজ শেষে হয়েছে। শুধু সংযোগ সড়কের জন্য দুই পাশে মাটি দিয়ে ভরাট করে দিয়েছে। এমন সময় বর্ষাকাল হলে নদীর পানি বেশি হয়ে একপাশে মাটি সরে পানি চলে যায়। কৃষকদের কোনো কাজে আসে না এটি।
চিরিরবন্দর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন আগে তৈরি হওয়ায় এটির কাগজপত্র পাওয়া যাচ্ছে না অফিসে। এটা কোন অর্থ বছরে কত টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হয়েছে তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।
স্থানীয় কৃষক নকুল চন্দ্র রায় বলেন, পাশেই কাঁকড়া নদীতে রাবার ড্রাম আছে। সেটা ফুলে কাঁকড়া নদীর পানি ছোট নদীগুলো নেয়। সেই পানি আটকে রাখতে জন্য এখানে সরকারি প্রকল্পে স্স্নুইস গেট তৈরি করে, যাতে কৃষকরা ফসলের ক্ষেতে পানি দিতে পারে। কিন্তু এটি নদীর মাঝখানে ছোট করে তৈরি করায় স্স্নুইস গেটটি কাজে আসে না।
স্থানীয় কৃষক হামিদুল ইসলাম বলেন, স্স্নুইস গেট নির্মাণ করলো পানি আটকানোর জন্য। কিন্তু পানি তো আটকে না, স্স্নুইস গেটের উপর দিয়ে নদী পারাপার হওয়াও যায় না। কৃষকদের ভোগান্তি শেষ নাই। খালি সরকারি টাকা অপচয়।
উপজেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদার রহামান বলেন, 'উপজেলার পূর্ব সাইতাঁড়া গ্রামে চিরিনদীতে দীর্ঘদিন আগে স্স্নুইস গেটটি তৈরি করা হয়েছে। স্স্নুইস গেট নির্মাণ করছে ছোট করে আর নদীটি বড় হওয়ায় সেখানে বর্ষার সময় পানি আটকে থাকে না। নদীর পাড় ভেঙে পানি চলে আসে। সেখানে একটি সেচ কমিটি আছে। তারা যদি আমাদের কাছে বিষয়টি সঠিকভাবে আবেদন করে তাহলে বিষয়টি নিয়ে কাজ করব।'