বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

চট্টগ্রামে ব্যাটারিরিকশা চালকদের ৩ ঘণ্টা অবরোধ, সড়কে মহাদুর্ভোগ

চট্টগ্রাম বু্যরো
  ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
চট্টগ্রামে ব্যাটারিরিকশা চালকদের ৩ ঘণ্টা অবরোধ, সড়কে মহাদুর্ভোগ
চট্টগ্রামে তিন দফা দাবিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকদের বিক্ষোভ -যাযাদি

চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় সড়ক অবরোধ করে তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক চালকরা। শ্রমিকদের অনড় অবস্থানের মুখে তাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে আলোচনার জন্য ৭ দিনের সময় নিয়েছে পুলিশ। প্রথমে শ্রমিকরা না মানলেও পরবর্তীতে তারা পুলিশ ও তাদের প্রতিনিধির আশ্বাসে সড়ক ছাড়েন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর সোয়া ২টা পর্যন্ত নগরের আগ্রাবাদ বাদামতল ও বন্দর জোনের ট্রাফিক কার্যালয় সম্মুখের সড়কে তারা অবস্থান নিয়েছিলেন। 'রিকশা, ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান, ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ'র ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেওয়ানহাট থেকে মিছিল সহকারে আনুমানিক ৫শ' অটোরিকশা শ্রমিক আগ্রাবাদ অভিমুখে রওয়ানা হয়। তাদের হাতে ব্যানারও ছিল। যেখানে লেখা ছিল, 'চট্টগ্রাম নগরীতে ব্যাটারিচালিত যানবাহনে ট্রাফিক হয়রানি ও জুলুম বন্ধ করো। রেকার বিলসহ ৩২৫০ টাকা অতিরিক্ত জরিমানা ও ১০ দিন গাড়ি আটকানোর অন্যায্য বিধান বাতিল করো। হয়রানি বন্ধে নীতিমালা, রুট পারমিট ও সার্ভিস লেইন নির্মাণ করো।'

বেলা ১১টায় তারা আগ্রাবাদে নগর পুলিশের বন্দর জোনের ট্রাফিক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় তারা বিভিন্ন স্স্নোগান দিতে থাকেন এবং সড়কের চতুর্পাশের গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেন। এতে আশপাশের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। দেখা গেছে, গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে থাকায় নগরের চৌমুহনী, দেওয়ানহাট, টাইগারপাস, লালখান বাজার, ওয়াসা, জিইসি, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, বারিক বিল্ডিং এলাকায় প্রচন্ড যানজটের সৃষ্টি হয়। যার ফলে কর্মজীবী ও শিক্ষার্থীরা মহাভোগান্তিতে পড়েন। অনেককেই হেঁটে গন্তব্যে রওয়ানা হতেও দেখা গেছে। অনেক স্কুল শিক্ষার্থীকে অভিভাবকরা সন্তান কোলে নিয়েই স্কুলে রওয়ানা হয়েছিলেন।

বিক্ষোভরত এক শ্রমিক বলেন, 'গলির ভেতর থেকে আমাদের গাড়ি ধরে নিয়ে যায়। এটা বন্ধ করতে হবে। আগে মামলা ছিল ৭৫০ টাকা। এখন আমাদের কাছ থেকে ৩৩০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। তারা আমাদের সাথে চাঁদাবাজি করছে। এটা আমরা মানবো না। আমাদের দাবি আজকেই মানতে হবে।' এ সময় নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার (বন্দর) কবীর আহম্মেদ শ্রমিকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, 'অটোরিকশা চালকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি স্মারকপত্র পেয়েছি। সেটিতে আপনাদের দাবি-দাওয়া সন্নিবেশন করা হয়েছে। এগুলো নিয়ে আমরা আপনাদের প্রতিনিধির সঙ্গে আধঘণ্টাব্যাপী আলোচনা করেছি।'

উপ-কমিশনার বলেন, 'দাবি-দাওয়াগুলো পুলিশ কমিশনারের কাছে উপস্থাপন করব। সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থা এবং সুনির্দিষ্ট সমাধানের জন্য আমরা চসিক-সিডিএ'র সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এটা করতে সময় লাগবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে