বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে ফের বেড়েছে চোরাচালান

ধর্মপাশা-মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে ফের বেড়েছে চোরাচালান

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর সীমান্তে আবারও বেড়েছে অবৈধ গরু ও মহিষের চালান। সেই সব অবৈধ গরু ও মহিষের বৈধতা দিচ্ছে স্থানীয় পশুর হাট মহিষখলা বাজারের অসাধু ইজারাদাররা।

জানা যায়, অবৈধভাবে সীমান্তের ওপার থেকে আসা গরু ও মহিষ এনে মহিষখলা বাজারের ইজারদারের কাছ থেকে গরুপ্রতি ১ হাজার ৫০০ টাকা ও প্রতিটি মহিষের জন্য দুই হাজার টাকা দিয়ে গবাদি পশু ক্রয়-বিক্রয়ের হাসিল রসিদ সংগ্রহ করলেই এসব গরু ও মহিষ বৈধতা পায়। মধ্যনগর উপজেলার অন্তত ৬টি সীমান্ত স্পটে চোরাকারবারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন স্থানীয় পাঁচ শতাধিক চোরাকারবারি।

এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্য মতে, মধ্যনগর উপজেলার এসব স্পটগুলো হচ্ছে- বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের মহেষখলা, কাইটাকোনা, কড়ইবাড়ী (কড়ই চড়া), আমতলা, ঘিলাগড়া, বাঙ্গালভিটা। এসব স্পট দিয়ে গরু-মহিষসহ ভারতীয় বিভিন্ন পণ্য অবৈধভাবে নিয়ে আসছে সংঘবদ্ধ চোরাকারবারি চক্র।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, মহিষখলা বাজারের গবাদি পশুর হাটকে কেন্দ্র করেই মূলত চোরাকারবারি চক্রটি সক্রিয় রয়েছে। গরু ও মহিষ চোরাকারবারের সঙ্গে মহিষখলা বাজার ইজারাদার সিন্ডিকেট জড়িত।

তবে ইজারাদার সিন্ডিকেটের নিযুক্ত খাজনা আদায় ও গবাদি পশু ক্রয়-বিক্রয়ের হাসিল রসিদ প্রদানের দায়িত্বে থাকা দাতিয়াপাড়া গ্রামের হক মিয়ার সঙ্গে কথা হলে তিনি স্বীকার করে বলেন, 'মহিষখলা বাজারের হাসিল রসিদ নিয়েই চোরাইপথে আনা ভারতীয় গরু-মহিষের বৈধতা দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে মহিষখলা বাজার ইজারদার সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মো. শফিকুল ইসলাম।'

মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সজীব রহমান বলেন, 'আমি নতুন এসেছি। সীমান্তের চোরাচালান  বন্ধের জন্য বিজিবি কাজ করছে। আর আমার থানা এলাকায় কোনো চোরাচালানের  পণ্য প্রবেশ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।'

সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল একেএম জাকারিয়া কাদির সম্প্রতি গণমাধ্যমকে বলেছেন, চোরাকারবার প্রতিরোধে আমরা আগের চেয়ে আরও বেশি তৎপর। সীমান্তে জনবল বাড়ানো হয়েছে।

মহিষখলা বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি (পদাধিকার বলে) বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরনবী তালুকদারের সঙ্গে মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে