ফুটপাথের ড্রেনে নেই ঢাকনা, ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের চলাচল
প্রকাশ | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
চৌদ্দগ্রাম (কুমিলস্না) প্রতিনিধি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী জনবহুল এলাকা চৌদ্দগ্রাম বাজার। বাজারের মহাসড়কের দুই পাশে ফুটপাতের উপর বসানো ড্রেনের ঢাকনা (স্স্নাব) একাধিক স্থানে ভেঙ্গে পড়েছে, স্স্নাব ভেঙ্গে ড্রেনের পুরো অংশই খালি হয়ে গেছে। বিশেষ করে বাজারের ন্যাশনাল ব্যাংকের, ওয়াবদা রোড, জামে মসজিদ রোড, বাজারের দক্ষিণ পাশে মতিন মাইকের দোকানের সামনে অনেকাংশে ড্রেনের উপর স্স্নাব নেই।
বাজার সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ঢাকনা ছাড়া ড্রেনের ফুটপাত যাতায়াতে ব্যবহার করছেন।
ঐতিহ্যবাহী চৌদ্দগ্রাম এইচ.জে.পাইলট মডেল সরকারি হাইস্কুল, চৌদ্দগ্রাম মাধ্যমিক পাইলট বালিকা বিদ্যালয়, চৌদ্দগ্রাম নজুমিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা, চৌদ্দগ্রাম সরকারি কলেজসহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থী, অসংখ্য সরকারি ও বে-সরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের হাজারো রোগী চৌদ্দগ্রাম বাজারের ফুটপাত ব্যবহার করে চলাচল করে। এছাড়াও প্রতিদিন উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজারো নারী-পুরুষ এই ফুটপাত ব্যবহার করে কেনাকাটা করার জন্য চৌদ্দগ্রাম বাজারে আসেন।
বিভিন্ন সময়ে স্স্নাবের খালি অংশে পড়ে গিয়ে অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। বিশেষ করে বাজারের ব্যস্ততম এ এলাকায় রাতের অন্ধকারে ঢাকনাবিহীন ড্রেন বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে ড্রেনে বিভিন্ন অংশে স্স্নাব না থাকায় ময়লা-আবর্জনায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে ছড়িয়ে পড়ছে রোগ-জীবাণু। এছাড়া ড্রেনের ওপরে ঢাকনা না থাকায় অবাধে ময়লা-আবর্জনা ফেলছে এলাকাবাসী ও বাজারের ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা।
বাজার জামে মসজিদ এলাকার ব্যবসায়ী সবুর মিয়া বলেন, 'ড্রেনের বিভিন্ন অংশে ঢাকনা না থাকায় আমাদের দুর্ভোগ আর ভোগান্তির শেষ নেই। ড্রেনের আশপাশের ব্যবসায়ী ও পথচারীদের ময়লা-আবর্জনা, টয়লেটের ময়লা, দুর্গন্ধযুক্ত পানি ড্রেনেই ফেলছে। ফলে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছি আমরা।'
বাজারের ন্যাশনাল ব্যাংক এলাকায় ব্যবসায় লিয়াকত আলী জানান, ড্রেনের ঢাকনা না থাকার কারণে দুর্গন্ধে চলাফেরা করতে কষ্ট হচ্ছে- দ্রম্নত ঢাকনা নির্মাণ করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কুমিলস্না সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আদনান জানান, ঢাকনাহীন ড্রেন সত্যি ঝুঁকিপূর্ণ। বিষয়টি সরেজমিন দেখে দুর্ঘটনা এড়াতে ড্রেনের ওপর ঢাকনা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।