হাটহাজারী উপজেলার সাবেক মাধ্যমিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিয়মবহির্ভূতভাবে পার্শ্ববর্তী উপজেলা ফটিকছড়ির কর্মকর্তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে দায়িত্ব গ্রহণ করে হাটহাজারীতে প্রতি রোববার ও বুধবার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন ওই কর্মকর্তা। অবগত হয়েই মহাপরিচালকের নির্দেশনায় উভয়কে শোকজ করেছেন জেলা কর্মকর্তা।
জানা গেছে, হাটহাজারী উপজেলার সাবেক মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাইনুদ্দিন মজুমদার চলতি বছরের ২৯ অক্টোবর অবসরোত্তর (পিআরএল) ছুটিতে যান। একইদিন ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তার নির্দেশ ছাড়াই সম্পূর্ণ একক সিদ্ধান্তে ফটিকছড়ি উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম রেজাকে দায়িত্ব অর্পণ করেন যা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোন নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে নিয়মবহির্ভূত দায়িত্ব গ্রহণ করেই সপ্তাহে দুইদিন অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন শুরু করেন ওই কর্মকর্তা।
এ দিকে বিষয়টি জানতে পেরে চারদিকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকে প্রশ্ন রাখেন জেলা কিংবা ঊর্ধ্বতনের কোন নির্দেশনা ছাড়া কিভাবে একজন অবসরোত্তর কর্মকর্তা ছুটিতে যাওয়া কর্মকর্তা অন্য উপজেলার কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিতে পারেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশনা না পেলে তিনি নিয়ম অনুযায়ী জেলা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবেন। পার্শ্ববর্তী উপজেলার একজন বিচক্ষণ কর্মকর্তাই কিভাবে এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। জানতে ফটিকছড়ি উপজেলার কর্মকর্তা সেলিম রেজার মুঠোফোনে বারবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
অবসরোত্তর ছুটিতে যাওয়া সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা মাইনুদ্দিন মজুমদার বলেন, 'জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি নীতিমালা অনুসরণ করে ফটিকছড়ি উপজেলার কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছি। এটি নতুন নয় আগেও হয়েছে।'
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম মশিউজ্জামান বলেন, বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছেন। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা কর্মকর্তা উত্তম শিখা যায়যায়দিনকে বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেই মহাপরিচালকের নির্দেশনায় উভয়কে শোকজ করা হয়েছে। তবে এখনো অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন কোন আইনে জানতে চাইলে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। এদিকে কর্মকর্তা অবসরোত্তর ছুটিতে যাওয়ার পর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্বাক্ষরিত কোন ডিডিও শিট না পাওয়ায় ওই দপ্তরের হিসাব রক্ষক, অফিস সহকারী ও চতুর্থ শ্রেণির দুই কর্মচারী দুই মাসের বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।