কক্সবাজারের সাগর বেষ্টিত দ্বীপ কুতুবদিয়া উপজেলা যাওয়ার একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম সাগর চ্যানেল। পেকুয়া উপজেলার মগনামা ঘাট থেকে নৌযান করে যাতায়াত করতে হয় দ্বীপে। এখন দুই পারের জেটিঘাটে ঘুটঘুটে অন্ধকার। দিনের বেলায় যেকোনো রকম, রাতবেলায় আন্ধকারে ঝুঁকি নিয়ে এপার-ওপার হতে হয় যাত্রীদের। দুই পারের জেটিতে আলোর কোনো ব্যবস্থা না থাকায় যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে দাবি যাত্রীদের।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দৈনিক যায়যায়দিনের প্রতিবেদক পেকুয়া উপজেলার মগনামা জেটিঘাটে গেলে এমন দৃশ্যের দেখা মিলে। ঠিক একই অবস্থা কুতুবদিয়া জেটিঘাটেও। বৃদ্ধ নারী, পুরুষ, শিশুসহ বিভিন্ন বয়সি লোকজন সাগর চ্যানেল পাড়ি দিতে বসে আছেন। আবার কেউ কেউ অন্ধকারে নৌকাতে উঠেছেন মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে। একইভাবে কুতুবদিয়া থেকে লোকজন পেকুয়া আসছেন।
কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কুতুব উদ্দীন অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে চট্রগ্রাম থেকে আসছেন মগনামা জেটিঘাটে অন্ধকার থাকায় নৌকা তুলতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। দিনে রোগী নিয়ে এ সাগর চ্যানেল পার হওয়া গেলেও সন্ধ্যার পর ঝুঁঁকি নিয়ে পার হতে হয়। অন্যদিকে, কুতুবদিয়ার নেতাদের চোখে পড়ে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। কুতুবদিয়ার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল আহমদ বলেন, কুতুবদিয়া থেকে চট্টগ্রাম ডাক্তার দেখতে যাওয়ার সময় জেটিঘাট পৌঁছতে তার সন্ধ্যা হয়ে যায়। কিন্তু জেটিতে বাতির ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় ওঠানামা করতে হয়। যাত্রীদের ঝুঁকি এড়াতে রাতে জেটিঘাটে বাতি লাগানোর দাবি জানান তিনি।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী জানান, 'আমি উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন কুতুবদিয়া জেটিঘাটে একটি সৌরবিদু্যৎ দিয়েছিলাম। এখন সেটি নষ্ট হয়ে গেছে। ইউএনও'র সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।'
জানতে চাইলে মাগনামার ইজারাদার নুরুল ইসলাম জানান, 'জেটিঘাটে আলোর ব্যবস্থা করার জন্য পেকুয়া ইউএনও বরাবর আবেদন করেছি।' অন্যদিকে, কুতুবদিয়া জেটিঘাটের ইজারাদার মিন্টু জনান, 'বিদু্যৎ লাইন না আসায় স্থায়ীভাবে বাতি জ্বালানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে অস্থায়ীভাবে বাতি জ্বালানোর জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি।'
কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাথোয়াইপ্রু মারমা বলেন, বিষয়টি আমার নজরে রয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেটিঘাট আলোকিত রাখার চেষ্টা চলছে।