যশোরে ট্রেন অবরোধ করে পদ্মাসেতু দিয়ে তিন ঘণ্টায় ঢাকা যাওয়ার দাবি জোরালো করলো যশোরবাসী। মঙ্গলবার যশোর রেলওয়ে জংশনে ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে এ কর্মসূচি পালিত হয়। দেড় ঘণ্টাব্যাপি অবরোধের পর যশোরের জেলা প্রশাসকের অনুরোধে অবরোধ তুলে নেন বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির নেতারা। তবে দাবি আদায় না হলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন।
বেনাপোল-নড়াইল-ঢাকা রুটে দুইটি ট্রেনসহ ছয় দফা দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার যশোর জংশনে রেল অবরোধ কর্মসূচি করে বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি। বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জিলস্নুর রহমান ভিটুর সভাপতিত্বে অবরোধ সমাবেশে বক্তব্য দেন কমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুর রহমান হিরু, ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল, সংস্কৃতিজন হারুন অর রশিদ, তসলিমুর রহমান, অধ্যক্ষ শাহীন ইকবাল, যুগ্ম সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান মিলন, প্রবীণ বামনেতা হাসিনুর রহমান, যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা একরাম-উদ-দ্দৌলা, প্রেস ক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, লোকসমাজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আনোয়ারুল কবীর নান্টু, যশোর শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বুলু, যশোর আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা, পরিবেশ আন্দোলনের নেতা খন্দকার আজিজুল হক মনি প্রমুখ।
দুপুর একটায় রেল অবরোধ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর দুপুর পৌনে দুইটায় বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি জংশনের আউটার সিগন্যালে আটকা পড়ে। এরপর অবরোধের খবর পেয়ে রেল জংশনে ছুটে আসেন যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম।
তিনি আন্দোলনকারীদের বলেন, যশোরের মানুষ রেলের ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিক আন্দোলন করে চলেছে। তিনি এই দাবি মন্ত্রিপরিষদ এবং রেল মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছেন। এ সময় তিনি যাত্রী ও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান।
জেলা প্রশাসকের অনুরোধের প্রেক্ষিতে বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির নেতারা কর্মসূচি সমাপ্ত করেন। অবরোধ তুলে নেওয়ার পর পৌনে এক ঘণ্টা আটকে থাকা বেনাপোল এক্সপ্রেস ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে।