মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

আবু সাঈদের আইনজীবীর ওপর হামলা, বিশিষ্ট নাগরিকদের নিন্দা

যাযাদি ডেস্ক
  ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
আবু সাঈদের আইনজীবীর ওপর হামলা, বিশিষ্ট নাগরিকদের নিন্দা

সংগঠক নাহিদ হাসান নলেজ, শহীদ আবু সাঈদের আইনজীবী রায়হান কবীর, ভূমিহীন আন্দোলনের নেতা শেখ নাসির উদ্দিনের ওপর জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন দেশের অন্তত ৬২ জন বিভিন্ন পেশার নাগরিক।

রোববার সন্ধ্যায় রাষ্ট্র সংস্কারের সদস্য রিয়াজ খানের সই করা এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।

বিবৃতিতে অধ্যাপক সলিমুলস্নাহ খান, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম, অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ, ড. সৈয়দ নিজার, ডা. জাহেদ উর রহমান, মোরশেদ শফিউল হাসান, মাসকাওয়াথ আহসান, সামিনা লুৎফা, সারোয়ার তুষার, মোহাম্মদ জাহিদুল হক, কলেস্নাল মোস্তফা, সহুল আহমদ, বাকী বিলস্নাহ, পারভেজ আলম, সামজীর আহমেদ, দিলশানা পারুল, মারুফ মলিস্নক, মুহাম্মদ উলস্নাহ মধু, আলতাফ শাহনেওয়াজ, আরিফুজ্জামান তুহিন, দীপক সুমন, খন্দকার সুমন, মীর হুযাইফা আল মামদূহ, অনুপম দেবাশীষ রায়, সুস্মিতা চক্রবর্তী, রফিকুল রঞ্জু, সাইয়েদ জামিল, নাসরিন খন্দকার, শিমুল সালাহ্‌উদ্দিন, সালাহ উদ্দিন শুভ্র, এহসান মাহমুদ, রাফিকুজ্জামান ফরিদ, সৈকত আরিফ, রাগীব নাঈম, আরিফ রহমান প্রমুখের নাম উলেস্নখ করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৯ নভেম্বর কুড়িগ্রামের রৌমারীতে হাট ও ঘাট খাজনা বাতিল, কৃষি সংস্কার কমিশন ও স্বাধীন স্থানীয় সরকারের দাবিসহ কয়েকটি দাবিতে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রৌমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপেস্নক্স চত্বরে কৃষক সমাবেশ ছিল। এজন্য তারা কয়েকদিন ধরে ব্যাপক প্রচারণা চালায়। পুলিশের ভাষ্যমতে, সমাবেশের দিন রৌমারী থানায় জামায়াতে ইসলামী সমাবেশ বাতিলের দাবিতে আবেদন জমা দেয়। তাই রৌমারী থানা পুলিশ মঞ্চ ভেঙে দেয়।

'পরে সমাবেশ শুরুর নির্ধারিত সময়ে সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে গেলে আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিনুকে জামায়াতকর্মীরা আওয়ামী নেতা ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসীর জামাই ও ভাগ্নে মাহবুবের নেতৃত্বে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। তারপর শহীদ আবু সাঈদের প্রধান আইনজীবী রায়হান কবীর তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাকেও কিল-ঘুষি মারতে শুরু করে। অতিথি নাহিদ হাসান নলেজ রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাকে ও ভূমিহীন আন্দোলনের নেতা শেখ নাসিরসহ উপস্থিত আরও কয়েকজনকে মারধর করে।'

বিশিষ্টজনরা উলেস্নখ করেন, 'আমাদের কাছে যে ভিডিও এসেছে ও সংবাদ মাধ্যমে প্রশাসনের লোকজন যে বিবৃতি দিয়েছেন- তাতে স্পষ্ট তাদের প্রচ্ছন্ন সহযোগিতাতেই জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা এই সাহসটা পেয়েছে।'

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'আমরা রৌমারীর সার্কেল এসপি, ওসি ও ইউএনওর বিবৃতি পড়ে বুঝেছি, এরাও অন্যতম অপরাধী। অপসারণসহ হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি ও নিন্দা জানাই।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে