নবীগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কের শহীদ মিনার সংলগ্ন স্থানে সিএনজি স্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। শনিবার দুপুরে স্ট্যান্ড দখলকারীদের বাধা দিলে সিএনজি সংগঠনের সভাপতি লাঞ্ছিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে বড় ধরনের রক্তপাতের ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ২০-২৫ বছর ধরে নবীগঞ্জ থানা পয়েন্ট সিএনজি সংগঠন নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠনসহ বানিয়াচং রোড, কাজির বাজার রোডে সিএনজি চলাচল পরিচালনা করে আসছেন। বানিয়াচং স্ট্যান্ডের জন্য কাউন্টারে ১০-১২ জন ম্যানেজার নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে পার্শ্ববর্তী রাজনগর গ্রামের রয়েছে ৫-৬ জন। রাজাবাদ, কানাইপুরসহ ৪-৫ জন। সম্প্রতি পৌরসভা কর্তৃক সিএনজির স্ট্যান্ড নির্মাণ করে দিলে সংগঠনের পক্ষ থেকে টিনসেট দিয়ে কাউন্টার বানানো হয়। উক্ত কাউন্টার থেকে সুন্দরভাবেই চলছিল স্ট্যান্ড পরিচালনা। এদিকে রাজনগর গ্রামবাসীর নাম ব্যবহার করে ওই গ্রামের সাবেক কাউন্সিলর আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা আব্দুস সোবহান, ভাতিজা সাবেক কাউন্সিলর বিএনপি নেতা সুন্দর আলী, আওয়ামী লীগ নেতা এটিএম রুবেল, সামছুসহ একদল সংঘবদ্ধ চক্র কবরস্থানের জায়গা ও মরহুম সাংবাদিক এটিএম নুরুল ইসলাম খেজুরের মালিকানাধীন জায়গাসহ মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ১৫ দিন পূর্বে ওই চক্রই মসজিদের নাম ব্যবহার করে সংগঠনের নিয়ন্ত্রিত স্ট্যান্ড দখল করে আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ খানকে ম্যানেজার হিসেবে বসান। এ নিয়ে সংগঠন ও স্ট্যান্ড দখলকারীদের মধ্যে একটি সালিশ করা হয়। রোববার দুই পক্ষই আপসে বসার কথা ছিল। কিন্তু শনিবার সকালে ওই প্রভাবশালী চক্র সংগঠনের কাউন্টার ভেঙে নতুন করে পাকা পিলার দিয়ে ঘর নির্মাণ করলে সংগঠনের সভাপতি ফয়েজ আহমদ বাধা দেন। এ সময় দখলকারী লোকজনের হাতে সভাপতি লাঞ্ছিত হন। এ ঘটনায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। সভাপতির নেতৃত্বে সংগঠনের লোকজন বানিয়াচং সড়কের হরিপুর এলাকায় ব্যারিকেট দেওয়া হয়। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থল এসে কাউন্টারের কাজ বন্ধ এবং ব্যারিকেট প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। বর্তমানে পরিস্থিতি থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।