মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে শেষ হলো চরমোনাইর বার্ষিক মাহফিল

প্রকাশ | ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০

বরিশাল অফিস
বরিশালের চরমোনাইর বার্ষিক মাহফিলে মোনাজাত করেন পীর আমীরুল মুজাহিদীন হযরত মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম -যাযাদি
লাখো মুসলিস্নর আমিন ধ্বনিতে আখেরি মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে শেষ হয়েছে তিন দিনব্যাপী চরমোনাইর বার্ষিক মাহফিল। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় সমাপনী অধিবেশন ও আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয় লাখ লাখ মুসলিস্নর আধ্যাত্মিক এই মিলনমেলা। মোনাজাত পরিচালনা করেন চরমোনাই পীর আমীরুল মুজাহিদীন আলহাজ হযরত মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। গত ২৭ নভেম্বর বুধবার বাদ জোহর চরমোনাইর পীরের উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয় তিন দিনব্যাপী অগ্রহায়ণ মাহফিল। বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই মাদ্রাসা মাঠে এই ঐতিহাসিক মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সকালে সমাপনী অধিবেশনের বয়ানে চরমোনাই পীর বলেন, মানুষ আজ আলস্নাহকে ভুলে নাফরমানি করছে অহরহ। অথচ একজন মানুষ কবরে গিয়ে মাফ না পাওয়া পর্যন্ত নিজেকে নিকৃষ্ট পশুর মতো মনে করতে হবে। সুতরাং, তাক্বওয়া বা আলস্নাহর ভয় অর্জনের মাধ্যমে মহান রবের সন্তুষ্টি নিয়ে কবরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে। আলস্নাহর ভয় যার অন্তরে নেই, ওই মানুষ এমনকি আলেম, মুফতি ও পীরের কোনো মূল্য নেই। সকাল-সন্ধ্যা জিকিরের মাধ্যমে ক্বলব পরিশুদ্ধ করতে হবে। গীবতের মতো গুনাহ থেকে বেচে থাকতে হবে। পরিবারের সবাইকে দ্বীন শিক্ষা দিয়ে দ্বীনের পাবন্দি করতে হবে। পরিবারে খাছ পর্দা জারি করতে হবে। সব রকম নেশাজাত দ্রব্য হতে বেচে থাকতে হবে। আলস্নাহওয়ালাদের কিতাব পড়তে হবে। সাপ্তাহিক হালকায়ে জিকির ও তালিমে নিয়মিত অংশ নিতে হবে। ছহীহ শুদ্ধভাবে কোরআন তিলাওয়াত করতে হবে। সমাপনী অধিবেশনের বয়ানে চরমোনাই পীর মাহফিল বাস্তবায়নে সম্পৃক্ত সবার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। আখেরি মোনাজাতে অংশ নেওয়া প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ব্যক্তি, সম্মানিত ওলামায়ে কেরাম এবং গণমাধ্যমকর্মীদের মোবারকবাদ জানান তিনি। পরে তিনি তাওবা করিয়ে গুনাহ থেকে বেচে থাকার শপথ করান। মোনাজাতে ফিলিস্তিন, ভারত, কাশ্মীর, মিয়ানমার, সিরিয়াসহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের নিরাপত্তা ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করেন। এবারের মাহফিলে চারজন অমুসলিম চরমোনাই পীরের ও শায়খে চরমোনাইর হাতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।