কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির আহ্বায়ক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষ একই স্থানে সমাবেশ ডাকায় উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবার রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এই পত্রে এই আদেশ জারি করা হয়।
আদেশপত্রে বলা হয়- ২৮ নভেম্বর সোনাহাট স্থলবন্দর এলাকায় একই স্থানে এবং একই সময়ে বিএনপির ২ পক্ষ থেকে সমাবেশ আহ্বান করা হয়েছে এবং সমাবেশ ঘিরে উপজেলায় চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ফলে আইনশৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে পাথর ও কয়লা আমদানি করা হয় এবং সরকারি রাজস্ব আয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে সরকারি স্বার্থ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তাই সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে উপজেলায় ২৮ নভেম্বর ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ সময় সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন, লাঠি বা দেশীয় অস্ত্র বহন বা প্রদর্শন, যে কোনো ধরনের মাইকিং বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার, ৫ বা অধিকসংখ্যক ব্যক্তির একত্রে চলাফেরা, সভা-সমাবেশ, মিছিল ইত্যাদি নিষিদ্ধ থাকবে। এ আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থলবন্দরের একাধিক ব?্যবসায়ী জানান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক একেএম ফরিদুল হক শাহিন শিকদারের নেতৃত্বে ব?্যবসায়ীদের একটি অংশ সোনাহাট স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির এক জরুরি সাধারণ সভায় অংশ নিয়ে বুধবার বিকালে ৯ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে। এই খবর শুনে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে বুধবার রাতে সোনাহাট স্থলবন্দরে এসে বৃহস্পতিবার নতুন কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। সংঘাত এড়াতে ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।
ভূরুঙ্গামারীর ইউএনও গোলাম ফেরদৌস জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকেই এ আদেশ কার্যকর করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে। ওই সময় উলেস্নখিত স্থানের মধ্যে কোথাও কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ করা যাবে না। এ আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।