ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আব্দুল মোনেম মহাবিদ্যালয়

পদত্যাগকারী অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী নিয়ে হামলার অভিযোগ

প্রকাশ | ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজেশ্বরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী আব্দুল মোনেম মহাবিদ্যালয়ের পদত্যাগকারী আওয়ামী লীগপন্থি অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানা গেছে, তিনি ওই প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর থেকে আওয়ামী লীগ এবং তার দোসরদের ছত্রছায়ায় আর্থিক অনিয়ম এবং ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্নভাবে অপমান অপদস্ত করে যাচ্ছিলেন। শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন স্কেল ও পদোন্নতি আটকে রেখে প্রায় ২৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকার মত আর্থিক ক্ষতি করেন। তাছাড়া তিনি নিজেও ২ লাখ ২৯ হাজার টাকার মত অর্থ ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম দীর্ঘদিন ছাত্র-ছাত্রীদের চাপের মুখে রেখে অত্যাচার, অনাচার করেছেন এবং বিগত সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রছাত্রীরা যেন অংশগ্রহণ না করতে পারে সেজন্য ছাত্রত্ব বাতিলের ভয়ভীতি দেখিয়ে বাধাগ্রস্ত করেন বলেও অভিযোগ ওঠে। তারই প্রেক্ষিতে ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে চলতি বছরের ১৯ আগস্ট পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীরা আর্থিক অনিয়মের তথ্য প্রমাণসহ অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগ দিলে গত ৪ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজের বর্তমান গভর্নিং বডির সভাপতি তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম তার জবাব দেননি। পরবর্তীতে সভাপতির মনোনীত তদন্ত কমিটির তদন্ত কার্যক্রম চলাকালীন সময় প্রায় এক থেকে দেড়শ বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে হামলা করেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। এতে কয়েকজন শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রী গুরুতর আহত হয় (ভিডিও ফুটেজ রয়েছে)। পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগমের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। এরই প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম বিভিন্ন মাধ্যমে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের পুনরায় আক্রমণের হুমকি দিচ্ছেন বলে ভুক্তভোগীদের দাবি। হুমকির কারনে ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ বিষয়ে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে শিক্ষক কর্মচারী ছাত্রদের পক্ষ থেকে আবারও অবহিত করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বার বার জানানোর পরও তারা বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলে শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্রছাত্রীরা।