ঝিনাইদহ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন বর্জন আওয়ামীপন্থিদের নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ

প্রকাশ | ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীপন্থি সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদ নির্বাচন বর্জন করেছেন। বুধবার সকালে বার ভবনে তারা এ ঘোষণা দেন। ঝিনাইদহ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে চাপ দিচ্ছে। এছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরাও নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় আমরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিচ্ছি। আমাদের কোনো প্রার্থী বা সমর্থক এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।' জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট খায়রুজ্জামান জানান, 'জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আমি নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে ছিলাম। গত ২৫ নভেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ৩ দফা দাবিসংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন। আমি তাদের দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য লিখিতভাবে বারকে জানাই। কিন্তু বারের পক্ষ থেকে আমাকে কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। নির্বাচন নিয়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে আমি নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছি। সে কারণে আমি নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছি। লিখিত পদত্যাগপত্র আমি বারে দাখিল করেছি। এছাড়া আমার সঙ্গে দুইজন সহকারী নির্বাচন কমিশনার ছিলেন। তারা হলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মােিলক ও অ্যাডভোকেট তারিকুল আলম। তাদের মধ্যে আব্দুল মালেকও পদত্যাগ করেছেন।' উলেস্নখ্য, ২৫ নভেম্বর আইনজীবী সমিতি ভবনে নির্বাচনের দায়িত্বরত নির্বাচন কমিশনারের কাছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক আবু হুরাইরা ও সদস্য সচিব সাইদুর রহমান ৩ দফা দাবি সংবলিত এক স্মারকলিপি দেন। এরপর থেকে নির্বাচন নিয়ে সংকট তৈরি হয়। স্মারকলিপিতে বলা হয়- 'এ নির্বাচনে আওয়ামীপন্থিদের অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হলে জুলাই বিপস্নবের হাজারো শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। তাদের কোনোভাবেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না।' ২৮ নভেম্বর ভোটগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে। নির্বাচনে ভোটার রয়েছেন ৩২০ জন। নির্বাচনে বিএনপি জামায়াত ঐক্য পরিষদের সবুজ প্যানেলে ১৭ জন, আওয়ামীপন্থি সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদরে লাল প্যানেলে ১৭ জন ও স্বতন্ত্র সাদা প্যানেলে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেন।