শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২
নির্বিকার এলজিইডি অফিস

দুর্ভোগের আরেক নাম আলমপাশা সেতু

হাওড়াঞ্চল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
দুর্ভোগের আরেক নাম আলমপাশা সেতু
কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ভেঙে যাওয়া আলমপাশা সেতু -যাযাদি

কিশোরগঞ্জের হাওড় অধু্যষিত ইটনা উপজেলায় মৃগা ইউনিয়নের আলমপাশার ৩০ মিটার সেতু এখন দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর নির্বিকার থাকায় দুর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে।

কিশোরগঞ্জ থেকে ইটনা দিয়ে হবিগঞ্জ জেলা সদরসহ পাশের উপজেলার জন্য একমাত্র সড়ক পথে যোগাযোগের মাধ্যম ইটনা-লাইমপাশা সড়ক। এ সড়কের লাইমপাশার কাছাকাছি আলমপাশায় একটি সেতু ছিল। কয়েক বছর আগে সেতুটি ভেঙে যায়। পরে গত বছর ৩০ মিটার এই সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পায় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু প্রায় এক বছর হলেও কাজটি শেষ করা দূরের কথা, এখনো সেতু নির্মাণের কোনো কাজই শুরু হয়নি।

মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা যায়, সেতুটি ভেঙে যাওয়ার কারণে দুইপাশে প্রায় অর্ধশতাধিক অটোরিকশা দাঁড়িয়ে আছে। মোটরসাইকেল এবং সাধারণ লোক পারাপারের জন্য বাঁশের চাটি দিয়ে করা হয়েছে যাতায়াতের ব্যবস্থা। বেশ কয়েকজন অটোরিকশা চালক জানান, এ ছোট একটি সেতুর কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়ে। এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি'র কোনো খবর নেই। গত বছর টেন্ডার করেছিল। তারপর কিছু কংক্রিট, বালু রেখেছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। কিন্তু প্রায় এক বছর হতে চলছে কাজ শুরু করার কোনো নামই নেই। আর এলজিইডি অফিসের কোনো লোকজনকে দেখা যায় না।

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার হিরন নামের এক পথচারী জানান, 'সেতুটি ভেঙেছে কয়েক বছর আগে। আর শুনেছি সেতু নির্মাণের জন্য এক বছর আগে টেন্ডার হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কাজ শুরুই হয়নি। এদিকে বাঁশের এই চাটাই দিয়ে পার হতে মাঝে মধ্যে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।'

মৃগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দারুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। বর্তমানে একমাত্র বোরো ধানের মৌসুম। স্থানীয় কৃষকরা মাথায় করে বীজের বস্তা সারের বস্তাসহ কৃষি সামগ্রী নিয়ে যেতে ভোগান্তিতে পড়েন। তাই জরুরি ভিত্তিতে এই সেতুটি নির্মাণ করা প্রয়োজন।

এ বিষয়ে তথ্যের জন্য ইটনা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি অফিসে গিয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে কিশোরগঞ্জ জেলা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, পানির কারণে কাজটি করা যায়নি। এখন পানি চলে গেছে। দ্রম্নত সময়ে মধ্যে কাজটি হয়ে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে