বিবেকের তাড়নায় নিহতের মায়ের খোঁজ নিতে আসা -ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার

প্রকাশ | ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরে ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হওয়া শরীফ মিঠুর কবর জিয়ারত করেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী -যাযাদি
'নিহতদের জীবনের রিনিময়ে একটি নতুন বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি। তাই ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহতের পরিবারের খোঁজখবর নিতে আসা। কোনো আনুষ্ঠানিক সফর নয়, নিজের বিবেকের তাগিদে শহীদের মায়ের খোঁজ খবর নিতে এসেছি।' ফরিদপুরের দুই উপজেলার বিভিন্ন কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সোমবার রাতে ফরিদপুর পৌরসভার গোয়ালচামট মোলস্নাবাড়ি সড়ক এলাকার বাসিন্দা নিহত জান শরীফ মিঠুর (৪৫) পরিবারের খোঁজখবর নিতে এসে এসব কথা বলেন। এ সময় বাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক কবরস্থানে নিহত মিঠুর কবর জিয়ারত করেন। তার আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মিঠুর বৃদ্ধ মাকে সান্ত্বনা দেন এই কর্মকর্তা। তার সঙ্গে কথা বলে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বিভাগীয় কমিশনার আরও বলেন, আন্দোলনের সময় সারা বাংলাদেশে নিহত ও আহত পরিবারের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে জুলাই ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে। ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সরকার নিহত ও আহতদের তালিকা অনুযায়ী সহযোগিতা করছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোলস্না, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক চৌধুরী রওশন ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়াছিন কবিরসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া স্থানীয় ছাত্ররা ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা। গত ১৯ জুলাই ঢাকার বনশ্রীতে ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শরীফ মিঠু (৪৫) নিহত হন। বাবা মারা যাওয়ার পর দুই ভাই বোনের মধ্যে নিহত মিঠু ছিলের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। স্বামী ও সন্তান হারানোর পর মিঠুর মা অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েন। বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকায় জেলার ৭ জন নিহত হয়, যাদের বাড়ি ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায়। ৫ আগস্ট ফরিদপুর শহরে থানার মোড় এলাকায় পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হয়। এছাড়া ফরিদপুরের ৯৪ জন আহত ওয়ার তালিকা তৈরি করা হয়েছে।