বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেছেন, 'বাংলার মাটিতে অনিবার্য বিপস্নব হবে ইসলামি বিপস্নব। বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ। শাসনতন্ত্র হবে ইসলামের শাসনতন্ত্র। সংবিধান হবে আল কোরআনের সংবিধান। রাজনীতি হবে খেলাফতের রাজনীতি। ৫ আগস্টের বিপস্নব বাংলার প্রতিটি মানুষকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে এ দেশের মানুষ ইসলামি বিপস্নবের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।'

গত রোববার রাত ১০টায় কুমিলস্না জেলা কওমি মাদ্রাসা সংগঠনের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় ঈদগাহে আয়োজিত আন্তর্জাতিক ইসলামি মহাসম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক সংবিধান সংস্কারের দাবি জানিয়ে আরও বলেন, 'আলস্নাহর আইনের বিরুদ্ধে, কোরআন-সুন্নাহর আইনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে কোনো আইন, কোনো নীতিমালা কার্যকর হবে না। এ ব্যবস্থা নতুন প্রবর্তিত সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হতে হবে।'

কুমিলস্না জেলা কওমি মাদ্রসা সংগঠনের সভাপতি মাওলানা আলস্নামা নুরুল হকের সভাপতিত্বে ইসলামি মহাসম্মেলনে প্রধান মেহমানের বক্তব্য রাখেন সাইয়ে্যদ হাসান আছজাদ মাদানী (ভারত)। অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন খতিবে আজম আলস্নামা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী, আলস্নামা আবদুল বাছেত খান সিরাজীসহ দেশবরেণ্য এবং স্থানীয় ওলামায়ে কেরামরা।

সেচ সংকটে তাহিরপুরের ২৩ হাওড়ের ইরি বোরো ফসল

ইসলামি মহাসম্মেলনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল কুদ্দুস সাতটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। প্রস্তাবনায়- এ দেশের কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে সম্পূর্ণভাবে অমুসলিম ও কাফের ঘোষণা, কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদের যথাযথ মূল্যায়ন, উগ্রবাদী ইসলাম বিদ্বেষী ও দেশের স্বার্থবিরোধী সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি, হিন্দুত্ববাদী ও নাস্তিক্যবাদী শিক্ষাবিস্তারের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের চক্রান্ত বন্ধের পদক্ষেপ গ্রহণ, ভারতের বিভিন্ন জায়গায় মুসলমানদের ওপর আক্রমণ, ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর অমানবিক ও বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে নির্বিচারে হত্যা বন্ধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবি এবং পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে হেফাজতে ইসলামির এবং দেশের শীর্ষ আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি তুলে ধরা হয়।