শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

প্রতিদ্বন্দ্বীদের দ্বন্দ্বে ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানা সিবিএ নির্বাচন স্থগিত

সিলেট অফিস
  ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
প্রতিদ্বন্দ্বীদের দ্বন্দ্বে ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানা সিবিএ নির্বাচন স্থগিত

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানা সিবিএ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর এ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। প্রধান নির্বাচন কমিশনার আখলাক হোসেন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। একই সঙ্গে পরবর্তী সময়ে করণীয় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে বলে উলেস্নখ করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানা সিবিএ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির প্রভাবশালী দুই নেতা সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ খান জামালের অনুসারীরা এখন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ থেকেই আটঘাট বেঁধে মাঠে নামেন কাইয়ুম চৌধুরী অনুসারীরা। এ পক্ষের নেতা সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন তার ছোট ভাই চাঁদপুরের বাসিন্দা সার কারখানায় কর্মরত হুসেন আহমদ পাটোয়ারী শিপনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক বানাতে চান। নিজে প্রভাব খাটানোর পাশাপাশি সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ওহিদুজ্জামান চৌধুরী সুফিকে নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের আঞ্চলিক এলাকার নেতাদের ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখান বলে অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ালে এবং শিপনকে সমর্থন না দিলে মামলা-হামলার হুমকি দেন। জানা যায়, এরপর থেকেই সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল ও তার অনুসারীরা নাইমুল করিম খসরু ও তার অনুসারী শ্রমিক নেতাদের পক্ষে অবস্থান নেন।

নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই ১৩ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় একটি রহস্যময় মামলা করেন গোলাপগঞ্জের জনৈক মাসুম আহমদ। মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের একাধিক নেতা, সার কারখানার বেশ কয়েকজন শ্রমিক নেতাকে অভিযুক্ত করা হয়। মামলার পরদিন রাতে ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় নাটোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক হারুনর রশীদ হারুন এবং আরিফ আহমদ নামের দুই শ্রমিক নেতাকে। এর মধ্যে হারুন সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপনের ভাই হুসেন আহমদ পাটোয়ারী শিপনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। এরই মধ্যে কাইয়ুম চৌধুরী অনুসারীরা শ্যামল ও শিপনকে দিয়ে একটি প্যানেল জমা দেন। একইভাবে খান জামাল অনুসারীদের সমর্থন নিয়ে সাবেক ছাত্রদল নেতা নাইমুল করিম খসরু প্যানেল জমা দেন। কারাগারে বন্দি হারুন ও আরিফ আদালতের অনুমতি নিয়ে সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মনোনয়ন জমা দেন।

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আখলাক হোসেন চৌধুরী জানান, 'কারাগারে থাকা দুইজন প্রার্থী সম্পর্কে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাব।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে