বগুড়ায় কনসার্ট দেখতে এসে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন হয়েছে। এদিকে কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে ছোট ভাইয়ের লাঠির আঘাতে বড় ভাই ও গাজীপুরে শীতলক্ষ্যায় ডুবে নারী শ্রমিকের মৃতু্য হয়েছে। আঞ্চলিক স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত ডেস্ক রিপোর্ট-
স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া জানান, বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের (নতুন ভবন) সামনে ছুরিকাঘাতে মেহেদী হাসান (২৬) নামে এক যুবক খুন হয়েছেন। তিনি শনিবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসে আয়োজিত কনসার্ট দেখতে এসেছিলেন। তার বাড়ি শহরের মালগ্রাম চাপরপাড়া এলাকায়। তিনি পেশায় থাই গস্নাস লাগানোর মিস্ত্রি।
কলেজের দর্শন বিভাগের পুনর্মিলনী উপলক্ষে সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে কনসার্ট আয়োজন করা হয়েছিল। মেহেদী হাসান রাত ৯টার দিকে কনসার্ট দেখতে যান। ভেতরে প্রবেশের সময় কলেজ গেটের সামনে কয়েকজন যুবকের সঙ্গে তার কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তার পেটে ছুরিকাঘাত করে ওই যুবকরা। তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল (শজিমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মেহেদী মালগ্রাম চাপরপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। বগুড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার জানান, হত্যার কারণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি জানান, কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে ছোট ভাইয়ের লাঠির আঘাতে বড় ভাই আমির আব্বাস নিহত হয়েছেন। রোববার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃতু্য হয়।
নিহত আমির আব্বাস (৪০) উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইছাখালী গ্রামের মরহুম নূরুল কবিরের ছেলে। ভোট ভাই আমির হোসেন ও তার স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার কামরুল হক বলেন, শুক্রবার দুপুরে পারিবারিক ও সীমানা বিরোধের জের ধরে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে লাঠি দিয়ে আব্বাসের মাথায় আঘাত করেন ছোট ভাই আমির হোসেন। এতে মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত আমির আব্বাসকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃতু্য হয়।
ঈদগাঁও থানার ওসি মসিউর রহমান বলেন, আব্বাস হত্যার ঘটনায় আমির হোসেন ও তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। এজাহার পেলে হত্যা মামলা রুজু করা হবে।
গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় শীতলক্ষ্যা নদীর ডুবে ফরিদা বেগম (৪৪) নামে এক নারী শ্রমিকের মৃতু্য হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় মূলগাঁও এলাকার ফুলেশ্বরী প্রাণ ঘাট সংলগ্ন এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত ফরিদা বেগম মৃত আনিছুর রহমানের স্ত্রী। তিনি কালীগঞ্জের মূলগাঁও এলাকায় বসবাস করে পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের কাজীরচর এলাকায় অবস্থিত প্রাণ-আরএফএল গ্রম্নপের চরকা টেক্সটাইল লিমিটেডে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
জানা গেছে, সন্ধ্যায় অফিস ছুটির পর চরকা টেক্সটাইল লি. থেকে কোম্পানির নিজস্ব ট্রলারে অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে ফরিদা বেগম মূলগাঁও ফিরেছিলেন। সে সময় ফুলেশ্বরী প্রাণ ঘাট সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছে ট্রলার ঘাটে ভেড়ার করার সময় হঠাৎ শীতলক্ষ্যা নদীতে পড়ে পানিতে তলিয়ে যান ফরিদা। স্থানীয়রাসহ ট্রলারে থাকা সহকর্মীরা নদীতে নেমে তাকে সন্ধান করতে থাকে। একপর্যায়ে তার দেহ উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন জানান, খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।