দুর্গাপুরে তিন দিনে ৪ জনের অপমৃতু্য

প্রকাশ | ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে অপমৃতু্যর ঘটনা। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের বায়রাউড়া গ্রাম থেকে মনজুল মিয়া (৫২) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে (চলতি মাস) গত ১৮ নভেম্বর উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের কুরুনীয়া গ্রামে অনামিকা সরকার (২১), ১৯ নভেম্বর সদর ইউনিয়নের বারমারী গ্রামে আব্দুল বারেক (৬০) একই দিনে চন্ডিগড় ইউনিয়নের কেরণখলা গ্রাম থেকে বৃষ্টি আক্তার (২৩) নামের মরদেহ উদ্ধার হয়। তাদের মধ্যে একজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠালেও বাকি তিনজনের মরদেহ পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাপের বাড়িতে না যেতে পেরে স্বামীর ওপর অভিমানে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন গৃহবধূ অনামিকা সরকার (২১)। মধ্য বয়সী আব্দুল বারেক (৫৫) দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যাজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। গত মঙ্গলবার সকালে বিষপান করে বাড়ির উঠানে বমি করতে থাকেন। সেই সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। এ সময় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে আসে। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃতু্য হয়। একই দিন গৃহবধূ বৃষ্টি আক্তার (২৫) পারিবারিক কলহের জেরে রাতে নিজ বসত ঘরে বিষপান করেন। বাড়ির লোকজন দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই মৃতু্য হয় গৃহবধূ বৃষ্টির। এদিকে উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের বায়রাউড়া গ্রামের মনজুল মিয়া (৫২) দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক সমস্যাজনিত রোগে ভুগছিলেন। ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করিয়েও রোগমুক্তি পাননি। এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার ধান ক্ষেতের পাশে একটি গাছে গলায় গামছা পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। পরে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, মনজুল মিয়া নামের ব্যক্তিটির মানসিক সমস্যা ছিল। অভিযোগ না থাকায় ও পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে। এ নিয়ে চারটি মৃতু্যর ঘটনা থানায় অপমৃতু্য হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।