স্বল্প জনবলেই চলছে রেলওয়ের কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা
প্রকাশ | ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
এমএ আলম বাবলু, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দেশের উত্তরাঞ্চলের রেলওয়ে জংশন খ্যাত ও খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরে অবস্থিত রেলওয়ে বৃহৎ ও একমাত্র কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা (কেলোকা)। তবে স্বল্প জনবল দিয়েই চলছে এ কারখানার নির্ধারিত কার্যক্রম। এরই মধ্যে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়েছে আমেরিকা থেকে আমদানিকৃত অত্যাধুনিক রেল ইঞ্জিনের কমিশনিং ওয়ার্ক। সেই সঙ্গে স্বল্প জনবল নিয়েও নিয়মিত আউট টার্নের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফলতা দেখিয়ে চলেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
কারখানার সাবেক প্রধান নির্বাহী (সিইএক্স) প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সফলতার সঙ্গে কারখানার সব কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে এবং সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সিইএক্সও তা পরিচালনা করছেন।
জানা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের একমাত্র বৃহৎ কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় (কেলোকা) রেলওয়ে ভারী ইঞ্জিনের মেরামত কাজ হয়ে থাকে। কাজের পরিধি হিসাবে কারখানায় যে পরিমাণ জনবল থাকার কথা বাস্তবে রয়েছে তার চেয়ে অনেক কম। সংকট রয়েছে খুচরা যন্ত্রাংশের। এর পরেও বিদ্যমান রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। সব কিছুকে পাশ কাটিয়ে দক্ষতা সম্পন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরলস প্রচেষ্টায় অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে কারখানার কার্যক্রম।
বিগত কয়েক অর্থ বছরে এ কারখানায় কাজের নির্ধারিত আউট টার্নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি অকেজো রেলইঞ্জিন মেরামত করে চলাচল উপযোগী করা হয়েছে। আমেরিকা থেকে আমদানিকৃত অত্যাধুনিক মানের রেলইঞ্জিন এখানে কমিশনিং ওয়ার্ক শেষে রেল বহরে সংযুক্ত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আমদানিকৃত মোট ৪০টি রেলইঞ্জিন এই কারখানায় কমিশনিং ওয়ার্ক শেষে রেল বহরে সংযুক্ত হয়েছে। কমিশনিং ওয়ার্ককিংয়ে আমেরিকান টেকনিক্যাল টিমের সাপোর্টে বাংলাদেশ রেলওয়ের দক্ষ প্রকৌশলী ও কর্মচারীরা নিরলসভাবে কাজ করেছেন। এ ছাড়াও স্বল্প জনবল নিয়েই নিয়মিত কাজের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিনিয়ত সফলতা দেখিয়ে আসছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। আর এ সবই সম্ভব হচ্ছে কারখানার সাবেক ও বর্তমান সিইএক্স এর কর্মদক্ষতার কারণে।
জানা গেছে, কারখানায় জনবল বরাদ্দ রয়েছে ৭২৪ জন। বর্তমানে কর্মরত রয়েছে ২৩১ জন। অর্থাৎ মূল জনবলের তিন ভাগের এক ভাগ। গত অর্থবছরে এ কারখানা থেকে ১৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অবসরে গেছেন। প্রতি বছরেই এভাবে অবসরের কারণে জনবল সংকট বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সে হারে জনবল নিয়োগ হচ্ছে না। কারখানায় নব নিয়োগকৃত খালাসি দেওয়া হয়েছে মাত্র ১১ জন। তুলনামূলক নিম্ন পদে জনবল বরাদ্দ কম। খালাসি পদে বরাদ্দ রয়েছে ৫০ জন। ফলে আউট সোর্সিং জনবল দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে।
কেলোকার প্রধান নির্বাহী বলেন, বিভিন্ন সমস্যাসহ জনবল সংকট থাকা সত্ত্বেও কাজ পিছিয়ে নেই। স্বাভাবিক নিয়মেই সব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে নিয়মিত কাজের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে।
রেলওয়ে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানাকে সক্রিয় করতে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগসহ খুরচা যন্ত্রাংশ সরবরাহ ও অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় শ্রমিক নেতারা।