দুর্গাপুর থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে পাহাড়সম অভিযোগ
প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
রাজশাহী অফিস
প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে একই কর্মস্থলে (থানায়) কর্মরত রয়েছেন রাজশাহীর দুর্গাপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক। তার বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অবৈধ পন্থায় কোটি কোটি টাকা উপার্জনের অভিযোগ রয়েছে। নিজ এলাকায় গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। একই কর্মস্থলে ২ বছরের অধিক থাকার নিয়ম না থাকলেও একাধিকবার বদলির আদেশ হলেও অদৃশ্য শক্তিতে বদলির আদেশ ঠেকিয়ে রয়েছেন বহাল তবিয়তে।
তিনি ২০২১ সালের মাঝামাঝি দুর্গাপুর থানায় যোগদান করে অদ্যাবধি একই থানায় দাপটের সঙ্গে চাকরি করে যাচ্ছেন। তিনি পদবিতে এসআই হলেও নিজেকে ওসির সমতুল্য ভেবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চষে বেড়ান পুরো উপজেলা জুড়ে।
রাজশাহীর দুর্গাপুর থানা এলাকায় বিভিন্ন খাত থেকে বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। একইস্থানে দীর্ঘদিন চাকরি করায় এমনটা হচ্ছে বলে অভিযোগ একাধিক ভুক্তভোগীর। তার অবৈধ রোজগারের পেছনে রয়েছে উপজেলার দালাল শ্রেণির রাজনৈতিক নেতা। পৌরসভাসহ প্রতিটি ইউনিয়নে তার নিজের তৈরি করা বিশ্বস্ত কিছু সোর্স রয়েছে।
দুর্গাপুর থানার সেকেন্ড অফিসার হিসেবে পরিচিত এসআই আব্দুর রাজ্জাক দীর্ঘ সাড়ে তিন বছরে দুর্গাপুর উপজেলা ও তার পূর্ব কর্মস্থল সীমান্তঘেষা বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ থাকা অবস্থায় বেশ কয়েকজন পুকুর খননকারী ও ভেকু দালাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে উপজেলাব্যাপী তিন ফসলি জমিতে অবৈধ পুকুর খননে সহযোগিতা করে কোটি কোটি টাকা আয় করে নিজ এলাকায় বিপুল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি।
এমনকি তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন খাত থেকে বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। একইস্থানে দীর্ঘদিন চাকরি করায় এমনটা হচ্ছে বলে অভিযোগ একাধিক ভুক্তভোগীর। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ- নিরাপরাধীকে অপরাধী সাজানো, ভুল তথ্যে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের হয়রানি, মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলা ইত্যাদি।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই আব্দুর রাজ্জাক বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।'