টাঙ্গাইল শহরে অতিরিক্ত ভর্তি ফি ও চাঁদা আদায়ের ক্ষোভে জেলা রিকশা শ্রমিক অফিসে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এতে তিন শ্রমিক নেতা আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ওই ঘটনা ঘটে। অফিসে থাকা তিনটি মোটরসাইকেল, আসবাবপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
হঠাৎ অগ্নিকান্ডে আহতরা হচ্ছেন- জেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ, সাবেক মেম্বার সালাম ও শ্রমিক নেতা রুপচান।
শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানায়, পূর্বে ভর্তি ফি এক হাজার টাকা ছিল। সম্প্রতি তা বাড়িয়ে ১৫৬০ টাকা করা হয়। এছাড়া ১০ টাকা মাসিক চাঁদাসহ ২০০ টাকা জরিমানা নিয়ে ভর্তি না হওয়া শ্রমিককে পাঁচ থেকে সাত দিনের সময় দিতেন সমিতির নেতারা। এ নিয়ে সাধারণ শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এদিন সকালে সাধারণ শ্রমিকরা মাইকিং করে মাসিক চাঁদা ও ভর্তি ফি না দেওয়ার আহ্বান জানাতে থাকে। সমিতির কয়েক নেতা মাইকম্যানকে আটক ও মারধর করে ছেড়ে দেন। মাইকম্যানের কাছে মারধরের খবর পেয়ে সাধারণ শ্রমিকরা ইউনিয়নের কার্যালয়ে হামলা, উপস্থিত নেতাদের মারধর ও কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে।
জেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ জানান, ইউনিয়নের কার্যালয়ে তাকে বেঁধে রেখে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন বাড়তে থাকায় তিনি প্রায় আধাঘণ্টা পর বাঁধন খুলে বের হন। আগুনে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে।
শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী কমিটির বর্তমান সদস্য সিহাব জানান, চাঁদা ও ভর্তি ফি দিবে না বলে সাধারণ শ্রমিকরা মাইকিং করছিল। এ সময় তাদের মাইকটি আটক করা হয়। এ ক্ষোভে শ্রমিকরা নেতাদের মারধর করে এবং ইউনিয়নের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে।
টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক এসএম হুমায়ুন কানায়েল জানান, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা আধাঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কার্যালয়ে থাকা তিনটি মোটরসাইকেলসহ বেশকিছু আসবাবপত্র এবং কাগজপত্র পুড়ে গেছে। এ সময় অগ্নিদগ্ধ একজনকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
টাঙ্গাইল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ভিক্টর ব্যানার্জি জানান, ঘটনাস্থল থেকে অগ্নিদগ্ধ একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে আইনহত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।