টাঙ্গাইলের বাসাইলে ঝর্ণা রানী দাস নামে এক নারীকে হত্যা করে মরদেহ মাটিতে পুঁতে রাখার দায়ে চাচি-ভাতিজাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া দন্ডিত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক আফরোজা বেগম এ রায় দেন।
দন্ডিতরা হচ্ছেন- বাসাইল উপজেলার সদরের পূর্বপাড়ার শাহাদত বেপারীর স্ত্রী মনোয়ারা আক্তার (৩০) এবং মজিবর বেপারীর ছেলে উজ্জ্বল ইসলাম (২৭)। তারা সম্পর্কে চাচি-ভাতিজা।
আদালতের নাজির লিটন মজুমদার জানান, ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর ঝর্ণা রানী পাওনা টাকা চাওয়ার জন্য একই এলাকার মনোয়ারা আক্তারের বাড়িতে যান। এতে মনোয়ারার সঙ্গে ঝর্ণা রানীর কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় মনোয়ারার ভাতিজা উজ্জ্বল ঝর্ণাকে মনোয়ারার ঘরের ভেতরে নিয়ে দুইজনে মিলে গলায় ফিতা পেঁচিয়ে এবং বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। পরে মরদেহ গুম করার জন্য মনোয়ারার ঘরের ভেতর মাটি খুঁড়ে গর্ত করে পুঁতে রাখে।
পরদিন ২৯ অক্টোবর নিহতের স্বামী সুনীল কুমার দাস বাদী হয়ে বাসাইল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ মনোয়ারা ও তার ভাতিজা উজ্জলকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে গ্রেপ্তাররা ওই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা এবং মরদেহ গুম করার জন্য মাটিতে পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করেছেন। পরে পুলিশ মনোয়ারার ঘরের ভেতর মাটিতে পুঁতে রাখা ঝর্ণা রানী দাসের মরদেহ উদ্ধার করে।
রায় ঘোষণার পর বিচারক দন্ডিত চাচি-ভাতিজাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।