নকলায় চাঞ্চচল্যকর আইয়ুব হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন

প্রকাশ | ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০

নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
শেরপুরের নকলায় আলোচিত চাঞ্চল্যকর দর্জি আইয়ুব আলী (৪৫) হত্যার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ মূল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত দর্জি আইয়ুব আলীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও হত্যার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করায় প্রশংসিতও হয়েছে নকলা থানা পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার রুনীগাও মধ্যপাড়া এলাকার নিহত আইয়ুব আলীর ভাতিজা মুকুল মিয়া (৪৫), কুর্শাবাদাগৌড় এলাকার স্বপন রবিদাস সেতু (২৫) ও মুকুল মিয়ার ছেলে মহসিন হাসান (২৩)। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রুবী বেগম থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আইয়ুব আলীর সঙ্গে জমি নিয়ে ভাতিজা মুকুল মিয়ার দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। সেই ক্ষোভে তাকে হত্যার হুমকি দেন মুকুল। এদিকে স্বপন রবিদাস সেতু রুনীগাও এলাকায় বিদেশ যাওয়ার জন্য জনৈক এক ব্যক্তিকে টাকা দেন। দীর্ঘদিন হলেও সেই টাকা তুলতে পারেন না সেতু। পরে মুকুলকে বিষয়টি জানাইলে তিনি সেতুকে বলেন তার একটা কাজে সহযোগিতা করলে পাওনা টাকা উদ্ধারে সহযোগিতা করবেন। রাজি হলে গত ১৪ নভেম্বর রাতে ঘটনার দিন আইয়ুব আলী নকলা বাজার থেকে দর্জির কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে রুনীগাও এলাকায় পিছু নেন সেতু। মসজিদের সিসিটিভি ফুটেজেও আইয়ুব আলীর সঙ্গে সেতুকে যেতে দেখা যায়। এদিকে আইয়ুব আলীর বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ের দিকে ওৎ পেতে ছিলেন মুকুল মিয়া ও তার ছেলে মহসিন হাসান। আইয়ুব আলী পুকুরপাড়ের কাছাকাছি এলে সেতু পেছন থেকে ধরে মুকুল ও তার ছেলে কুপিয়ে হত্যা করে পুকুরে ফেলে চলে যান। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এসব স্বীকার করেন স্বপন রবিদাস সেতু। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে আইয়ুব আলীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার হয়। নকলা থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুকুল ও তার দুই ছেলেকে আটক করেন। গোপনে ছায়া তদন্ত শুরু করেন। তখন বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেই তথ্যের ভিত্তিতে স্বপন রবিদাস সেতুকে গ্রেপ্তার করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়।