এক সপ্তাহে মালয়েশিয়ায় যশোরের তিনজন রেমিট্যান্স যোদ্ধার মৃতু্য
প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর
মালয়েশিয়ার পেনাং শহরে গত এক সপ্তাহে যশোরের মোট তিনজন রেমিট্যান্স যোদ্ধার মৃতু্য হয়েছে। এর মধ্যে দুইজন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ও একজন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন।
নিহতরা হলেন- যশোরের মণিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামের আবু দাউদের ছেলে মহিদুল ইসলাম (৪৫), মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা ইউনিয়নের ঝাঁপা গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মজিদ (৪৫) ও হানুয়ার গ্রামের আমিন উদ্দিন সরদারের ছেলে মিন্টু হোসেন (৪৫)।
উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামের আবু দাউদের ছেলে মহিদুল ইসলাম (৪৫) গত ১০ নভেম্বর একটি নির্মাণ সাইটে কাজ করার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতু্যবরণ করেন। তিনি দুই সন্তানের জনক। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক এ মৃতু্যর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলার ঝাঁপা ইউনিয়নের ঝাঁপা গ্রামের আব্দুল মজিদও (৪৫) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার পেনাং শহরে গত ১১ নভেম্বর রাতের কোনো এক সময় ঘুমের মধ্যে মৃতু্যবরণ করেন। মজিদ তিন সন্তানের জনক।
জানা গেছে, মজিদ গত ৫-৭ বছর আগে জীবিকার তাগিদে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। মালয়েশিয়ার পেনাং শহরে একটি নির্মাণ সাইটে কাজ করতেন তিনি। ১০ নভেম্বর রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ঘুমান মজিদ। রাতের কোনো এক সময় তিনি মারা যান। গত ১২ নভেম্বর সকালে কাজে যাওয়ার জন্য সঙ্গীরা তাকে ডাকতে গিয়ে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
আরও একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা মিন্টু হোসেন (৪৫) পেনাং শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতু্যবরণ করেন। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মালয়েশিয়ার একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃতু্য হয় তার। স্থানীয় ইউপি সদস্য খালেদুর রহমান টিটো এ মৃতু্যর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত মিন্টু হোসেন মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা ইউনিয়নের হানুয়ার গ্রামের আমিন উদ্দিন সরদারের ছেলে। তিনি এক সন্তানের জনক।
জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে জীবিকার তাগিদে মালয়েশিয়ায় যান মিন্টু হোসেন। মালয়েশিয়ার পেনাং শহরে একটি নির্মাণ সাইটে কাজ করতেন। গত ২-৩ নভেম্বর অর্থাৎ ১১-১২ দিন আগে কাজে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। সেই থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালেই মৃতু্যবরণ করেন। মরদেহ তিনটি বাংলাদেশে আনার আইনি প্রক্রিয়া চলছে। তিনজন তরতাজা রেমিট্যান্স যোদ্ধার অকালমৃতু্যতে প্রতিটি পরিবারে চলছে শোকের মাতম। স্বজনরা অপেক্ষায় আছেন তাদের প্রিয়জনের লাশের জন্য। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।