কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা-দৌলতপুর মহাসড়ক খানাখন্দে ভরা। চলাচলের অযোগ্য আলস্নারদর্গার বাজার। তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে আলস্নারদর্গায় অবস্থিত কলকারখানার পণ্য ক্রয় ও বাজারকরণ। নামমাত্র কয়েকটি ইট দিয়ে সংস্কারের চেষ্টা করলেও দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাচ্ছে না। সামান্য বৃষ্টিতেই জমে থাকা পানি ও ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় ভেড়ামারার শেষ সীমানা নাসির নগর থেকে আলস্নারদর্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পর্যন্ত। সড়কটির ১.৫ কি.মি অংশ খানাখন্দ ভরা।
ভেড়ামারা-দৌলতপুর মহাসড়কে প্রতিদিনই দুর্ভোগ পোহাতে হয় সড়কে ব্যবহারিত শত শত যানবাহনসহ হাজারো মানুষকে। সড়কে গর্ত সৃষ্টির ফলে দশ মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লাগে চলিস্নশ থেকে পঞ্চাশ মিনিট। একদিকে যেমন নষ্ট হচ্ছে কর্মঘণ্টা অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভ্যান, আটোসহ ছোট ছোট পরিবহণগুলো।
সংযোগের এ সড়কটির আলস্নারদর্গা বাজারে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের মাঝে জমে আছে হাঁটু পানি। জমে থাকা পানিতে খানাখন্দ বুঝতে না পারায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় অনেক দুর্ঘটনা। তাছাড়া রাস্তার দুই ধারে অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠায় ফুটপাতের রাস্তাও ব্যবহারে অনুপযোগী। শিল্পনগরীখ্যাত আলস্নারদর্গা বাজারের সড়কটি বছরের পর বছর ধরে খানাখন্দে ভরা। আলস্নারদর্গা বাজারের মধ্যে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ পাশে পলিটেকনিক ও নার্সিং ইনস্টিটিউট থাকায় সড়ক ব্যবহার করে নিজ প্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসার সময় শিক্ষার্থীদেরও পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা রোগী দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকায় অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই অনেক রোগী মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। ব্যস্ততম এ সড়কটির দুই ধারে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে চোখে পড়ার মতো। সড়কের ভেঙে পড়া অংশে কাদা পানি জমে থাকায় প্রতিনিয়ত এসব গর্তে পড়ে উল্টে যাচ্ছে গাড়ি, ঘটছে দুর্ঘটনা।
কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মনজুরুল করিম বলেন, নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পানি জমে রাস্তাটি বারবার ভেঙে যাচ্ছে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ভাঙা জায়গাগুলোতে মাঝেমধ্যে ইট ফেলা হচ্ছে। আগামী ডিসেম্বর মাসের আগে ভেঙে যাওয়া অংশটি সংস্কার করা সম্ভব হবে না।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আলস্নারদর্গা বাজারে রাস্তার দুপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কাজ চলছে।
আলস্নারদর্গা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জালাল উদ্দীন বলেন, বাজারের দুই ধারে পর্যাপ্ত পরিমাণ রাস্তার জায়গা রয়েছে। কিন্তু এসব জায়গা দীর্ঘদিন ধরে দখলে। রাস্তার দুই ধারের জায়গা দখলমুক্ত ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল করে দ্রম্নত পানি নিষ্কাশন করলে সমস্যার সমাধান সম্ভব।
বাসচালক রাকিবুল ইসলাম বলেন, আমরা সময়সূচি অনুযায়ী গাড়ি চালাই। সারা রাস্তা ভালোভাবে আসলেও এই বাজারে এসে কষ্ট হয়। যানজট ও ভাঙা রাস্তার কারণে বাজার পার হতে অনেক সময় এক ঘণ্টা লেগে যায়। এতে যাত্রীরা বিরক্ত হয় আবার গাড়িও নষ্ট হয়ে যায়।