গোবিন্দগঞ্জ ও লোহাগড়ায় নবান্ন উৎসব

প্রকাশ | ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০

গাইবান্ধা ও লোহাগড়া (নরসিংদী) প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাঁওতাল পলস্নীতে নবান্ন উৎসব উদযাপিত হয়েছে। শনিবার সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি এ নবান্ন উৎসব উদযাপন করে। নবান্ন উৎসব বাঙালির সংস্কৃতির অংশ হলেও তা পালিত হয়নি তবে গাইবান্ধার সাঁওতাল পলস্নীতে এ নবান্ন উৎসব পালিত হয়। গোবিন্দগঞ্জের সাপমারা ইউনিয়নের জয়পুর এলাকার শ্যামল-মঙ্গল মার্ডি-রমেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ নবান্ন উৎসবের আয়োজন করা হয়। উৎসব উপলক্ষে বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাসকে, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিসিলা মুরমু, সাঁওতাল নেতা ব্রিটিশ সরেন, তৃষ্ণা মুরমু প্রমুখ বক্তব্য দেন। লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি জানান, 'এসো মিলি প্রাণের উৎসবে'- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে নড়াইলের লোহাগড়ার ইতনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে নবান্ন ও পিঠা উৎসব। পিঠা শুধু খাবার হিসেবে বিবেচ্য নয় বরং লোকজ ঐতিহ্য এবং নারী সমাজের শিল্প নৈপুণ্যের স্মারক রূপেও বিবেচিত হয়ে আসছে। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা। এ উপলক্ষে শনিবার ইতনা শিশু-কিশোর সংগঠনের উদ্যোগে স্থানীয় মোল্যার মাঠে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত পিঠা উৎসবে ইতনা গ্রামসহ আশপাশের এলাকা থেকে ছোট ছোট শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষ-বৃদ্ধরা অংশগ্রহণ করেন। আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য সৈয়দ আলী জাফর বলেন, মূলত বাংলা ও বাঙালির হাজার বছরের রসনা বিলাসের অন্যতম উপকরণ হলো নানা রকমের পিঠা। পিঠাপুলি সম্পর্কে এখনকার শিশুরা তেমন একটা জানে না। তাদের পিঠা পুলি সম্পর্কে পরিচিত করার উদ্দেশে আজকের এই আয়োজন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সমাজসেবক শেখ আবু বক্কার, সৈয়দ আল মুবিনুল ইসলাম দুলক, শিক্ষক নারগিস সুলতানা দোলন, ঝর্ণা খানম, নূরজাহান বেগম প্রমুখ।