কুমিলস্নার চান্দিনায় বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়কের পাশের দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদিকে, হবিগঞ্জের মাধবপুরে ৩ কোটি টাকার ভারতীয় শাড়িসহ চোরাই পণ্য জব্দ ও লাখাইয়ে সরকারি ডিলারে দোকান থেকে প্রণোদনার ১৮৫ কেজি বীজ উদ্ধারসহ ৩০ হাজার অর্থদন্ড দেওয়া হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত ডেস্ক রিপোর্ট-
চান্দিনা (কুমিলস্না) প্রতিনিধি জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা-বাগুর বাসস্টেশনের উভয় পাশের দুই শতাধিক অবৈধ দোকানপাট ও স্থাপনা গড়ে তুলে মোটা অঙ্কের টাকা জামানত নিয়ে মাসোহারা আদায় করত প্রভাবশালী মহল। এতে মহাসড়কের চান্দিনা-বাগুর বাসস্টেশনের যানজট যেন নিত্য সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবশেষে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন।
শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে ফুটপাত ও সরকারি জায়াগা দখল মুক্ত করা হয়। জেলা প্রশাসন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এর আগে অবৈধ দোকানপাট সরিয়ে নিতে মাইকিং করেছিল প্রশাসন। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মঈন উদ্দিন এবং সড়ক ও জনপথের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম ভূঁঞা।
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সাহেববাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে কাভার্ড ভর্তি ৩ কোটি টাকার ভারতীয় শাড়ি ও বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকস সামগ্রীসহ চোরাইপণ্য জব্দ করেছে বিজিবি। জব্দ পণ্য হবিগঞ্জ জেলা কাস্টমস অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে।
বিজিবির হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমদাদুল বারী জানান, শুক্রবার বিকালে বিজিবি হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (৫৫ বিজিবি) একটি বিশেষ টহলদল উলেস্নখিত এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় একটি মিনি কাভার্ডভ্যান আটক করে তলস্নাশি চালিয়ে বিভিন্ন কসমেটিকস পণ্য ও শাড়ি জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা।
লাখাই (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, হবিগঞ্জের লাখাইয়ে কৃষকের জন্য ঘোষিত প্রণোদনার বীজ বিক্রির জন্য অবৈধভাবে গোদামজাত করার অপরাধে এক ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছেন ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদা সুলতানা পরিচালিত মোবাইলকোর্ট। গত শুক্রবার স্থানীয় বুলস্নাবাজার অবৈধভাবে প্রণোদনার বীজ বিক্রির জন্য গুদামজাত করা হয়েছে এমন গোপন সংবাদের প্রেক্ষিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় স্থানীয় বুলস্নাবাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি ডিলার 'মেসার্স রাজকুমার দেব'র মালিক রাজকুমার দেবকে এ অর্থদন্ড দেওয়া হয়।