বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২
ব্যবসায়ীকে অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়

যশোরের সাবেক পুলিশ সুপারসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর
  ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যশোরের সাবেক পুলিশ সুপারসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

যশোর এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় ও পায়ে গুলি করার অভিযোগে যশোরের সাবেক পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। ঘটনার সাড়ে ১০ বছর পর গত বৃহস্পতিবার শহরের বারান্দীপাড়ার মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে মাসুদুর রহমান নান্নু বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

অন্য আসামিরা হলেন তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার-ক সার্কেল মিলু মিয়া বিশ্বাস, এসআই সোয়েব উদ্দিন আহম্মেদ, আজগর আলী, জামাল উদ্দিন, এএসআই ইসরাফিল হোসেন, কনস্টেবল রোকনুজ্জামান, সালাউদ্দিন, আজম, সবুজ, আব্দুলস্নাহ আল কাফী, মোস্তাফিজুর রহমান, গোবিন্দ, সদর উপজেলার রামনগর পুকুরকুল মাঠপাড়ার সোহরাব ডাক্তারের ছেলে আজিমুল হোসেন ও মেয়ে নিলুফা ইয়াসমিন। ১৩ জন পুলিশ সদস্য এবং আজিমুল ও নিলুফাকে পুলিশের কথিত সোর্স হিসেবে মামলায় উলেস্নখ করা হয়েছে।

বাদী মামলায় উলেস্নখ করেন, ২০১৪ সালের ৩১ মে শহরের মণিহার সিনেমা হলের সামনে থেকে পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানের নির্দেশে অন্য আসামিরা তাকে অপহরণ করে। প্রথমে চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আটক রেখে নির্যাতন চালায়। পরে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ৩০ লাখ টাকা দাবি করে। বাদীর ছোট ভাই মাহামুদুর রহমান বাবুর মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা এনে আসামিদের দেন। এরপর তাকে চোখ বেঁধে সদর উপজেলার ভাতুড়িয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের বাড়ির সামনে চোখ ও হাতকড়া খুলে পালাতে বলা হয়। কিন্তু আসামি দৌড় না দিয়ে তাদের কাছে অনুনয় বিনয় করে মুক্তি দাবি করেন।

পরে আবারও ৩০ লাখ টাকা দাবি করলে বাদীর ভাই বাবু এসে আরও পাঁচ লাখ টাকা দেন। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে বাম পায়ে গুলি করা হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অস্ত্র মামলা দেয়। চিকিৎসা শেষে যশোর এনে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। আর ওই অবস্থা দেখে বাদীর বৃদ্ধ পিতা লুৎফর রহমান স্ট্রোক করে ২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর মারা যান। স্বামী ও ছেলের শোকে বাদীর মাও মৃতু্যবরণ করেন। এসব ঘটনায় ওই সময় আওয়ামী সরকারের ভয়ে মামলা করিতে সাহস পাননি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আদালতে তিনি এই মামলাটি করেছেন বলে জানান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে