রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ করার প্রজ্ঞাপন থাকা সত্ত্বেও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বৈঠক নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
গত বুধবার রুয়েট উপাচার্য, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক এবং গবেষণা ও উন্নয়ন পরিচালকের সঙ্গে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের প্রতিনিধিদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়, যা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে রুয়েটের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
ছাত্রদলের প্রতিনিধিদলে ছিলেন- কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি মাকসুদুর রহমান সুমিত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারহান মো. আরিফুর রহমান এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাইউম উল হাসান। এ সভায় রুয়েট শিক্ষার্থীদের মধ্যে যন্ত্রকৌশল বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ইমরান ও একই বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সামিন ইয়াসার সাদ, শাফায়েত, ইমতিয়াজ এবং ম্যাটেরিয়াল সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সৌরভ, নাইম মুনতাসির ও কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাহমিদ রাফিকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।
ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, 'রাজনীতিমুক্ত রুয়েটে এ রকম ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রশাসনকে এর জবাবদিহি করতে হবে।' আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, 'রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি, এ ঘটনায় ভিসি এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালকেরও জবাবদিহিতা করতে হবে। আমরা রুয়েটে কোনো রাজনৈতিক ছায়া ফেলতে দেব না।'
রুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, 'রাজনীতি নিষিদ্ধ করা সত্ত্বেও ছাত্ররাজনীতির প্রবেশ ঘটানো অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাই। রুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এর বিরুদ্ধে সবরকম প্রতিরোধ করবে। এ সময় শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে #ঘঙথচঙখওঞওঈঝথওঘথজটঊঞ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।